বিক্রম দাস ও রণয় তেওয়ারি: গার্ডেনরিচকাণ্ডে দায় কার? 'সব জানতেন পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার', আদালত চত্বরে বিস্ফোরক দাবি করলেন ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম। তাঁকে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক।
১ দিন পার। গার্ডেনরিচে বহুতলে বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত ৯। হাসপাতালে ভর্তি ১১ জন। পুলিসের আশঙ্কা ছিল, ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়েছেন আরও ২ জন! তাঁদের মধ্যে ১ জনের খোঁজ মিলল আজ, মঙ্গলবার। ওই ব্য়ক্তিকে উদ্ধার চেষ্টা চালাচ্ছে NDRF। লালবাজার সূত্রে তেমনই খবর।এর আগে, গতকাল সোমবার গার্ডেনরিচে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনকে 'অ্য়াকশন' নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। মমতা বলেন, 'বেআইনি নির্মাণ হয়ে থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেআইনি কাজের জন্যই এই ঘটনা'। এরপরই ওই নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম গ্রেফতার করে পুলিস। এদিন ধৃতকে তোলা হয় আলিপুর আদালতে। কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'কাউন্সিলরকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি? উপর থেকে নিচ থেকে সবাই, প্রশাসনের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিচ্ছেন। ইঞ্জিনিয়ার জানতেন, কাউন্সিলর জানতেন না! কাউন্সিলর জানতেন, মেয়র জানতেন না। এটা হতে পারে না। পুরো ব্যবস্থা... পুলিস, প্রোমোটার, ইঞ্জিনিয়ার সকলে নিয়ে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটা চলবে। একে অপরের উপর দোষারোপ করে...সত্য় থেকে মানুষের দৃষ্টিকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে না'।সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতে, 'আমি প্রথমদিনই বলেছি যে, এতবড় নির্মাণ চলছে গার্ডেনরিচের মতো ঘিঞ্জি এলাকায়। সেটা কারও নজরে পড়ল না! কাউন্সিলরের নজরে পড়ল না! পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার, তাঁদের নজরে পড়ল না! যাঁরা সাফাইয়ের কাজ করেন, তাঁদের নজরে পড়ল না! যাঁরা ট্য়াক্স অ্য়াসেস করেন, তাঁদের নজরে পড়ল না!এটা হতে পারি নাকি'? অভিযোগ, 'সবটাই পুরসভার জ্ঞাতসারে হয়েছে, আমি তো পরে শুনলাম, এলাকার মানুষ মেয়রকেও জানিয়েছিলেন। বেআইনি নির্মাণ, তৃণমূলের কাছাকাছি থাকলে, তৃণমূলকে টাকা-পয়সা দিলে বহু জায়গায় হয়, হচ্ছে। কলকাতা, হাওড়া বিভিন্ন পুরসভার এলাকায় এই বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে'।