মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ, ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা লোকপালে
এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৪
মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ। ক্যাশ ফর কোয়্যারি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তদন্তের নির্দেশ দিল লোকপাল। ২০ (৩) (এ) ধারায় তদন্ত চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। আগামী ছয় মাসের মধ্যে মহুয়া মামলায় রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে CBI-কে।
মহুয়ার বিরুদ্ধে CBIলোকপালের অর্ডারে উল্লেখ করা হয়েছে, '২০ (৩) (এ) ধারাতে আমরা CBI-কে নির্দেশ দিচ্ছি, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ওঠা ক্যাশ ফর কোয়্যারি মামলায় তদন্ত করে দেখা হোক। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই মামলা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা করতে হবে CBI-কে। তদন্ত কোন পথে এগোচ্ছে তার জন্য পাক্ষিক রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে তদন্তকারী এজেন্সিকে।' এদিকে, CBI ইতিমধ্যেই একটি প্রাথমিক তদন্ত করছিল মহুয়া মৈত্র মামলায়।
মহুয়ার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?গত বছর দেশের রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ওঠা একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে। বাংলার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে রাতারাতি সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। অভিযোগ ওঠে তিনি দর্শন হিরানন্দানির থেকে টাকা নিয়ে তার বিনিময়ে লোকসভায় গৌতম আদানি সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন। এই নিয়ে লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে নালিশ জানান BJP সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এরপর বসে এথিক্স কমিটির তদন্ত। তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে লোকসভার লগ ইন আইডি এবং পাসপোর্ট একাধিকবার অন্যত্র শেয়ার করার অভিযোগও তোলা হয়। জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে সরাসরি আঙুল তোলে BJP। তবে মহুয়া পাসওয়ার্ড শেয়ার করা কথা স্বীকার করলেও জানান কোনও নিয়ম তিনি লঙ্ঘন করেননি। ক্যাশ ফর কোয়্যারির অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের নেত্রী। দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উপরই ভরসা রেখেছেন। কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে এবারও তিনি জোড়াফুলের লোকসভা প্রার্থী।
এক সময়ে বহুজাতিক সংস্থার উঁচু পদ ছেড়ে রাহুল গাঁধীর ‘আম আদমি কা সিপাহি’ হন তিনি। সেই থেকেই রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু। লোকসভা থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর রণংদেহী মেজাজেই তৃণমূলের এই দাপুটে নেত্রী বলেছিলেন, 'আমি এর শেষ দেখে তবে ছাড়ব।' লোকসভার আগে লোকপালের CBI তদন্তের নির্দেশে অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।