সব রাজনৈতিক দলগুলির পাখির চোখ এখন ২০২৪ এর লোকসভা নির্বচন। নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হতেই নির্বাচনী প্রচার জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রচরে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। সেইমতো ভারত তো বটেই বিদেশে বসবাসকারী ভারতয়দের কাছেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হোয়টস অ্যাপ বার্তা পাঠাচ্ছে বিজেপি। আর এখানেই বেধেছে গোল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ ভারতীয় নাগরিকদের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী ভোট বার্তা পৌঁছচ্ছে পাকিস্তানি, ব্রিটিশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর নাগরিকদের কাছেও। এই ঘটনায় হতবাক সক্কলে। গত সপ্তাহে একটি ভারীয় নম্বর থেকে মোদীর ভোটবার্তা পৌঁছেছে সকলের কাছে। এই ভোট বার্তায় ভারতীয় মোদী সরকারের পরিকল্পণা সম্পর্কে মতমত চাওয়া হয়েছে। মেসেজের পাশাপাশি মোীর একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে।সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর একটি সংবাদ পত্র্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব আমিরশাহী সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকরা নরেন্দ্র মোদীর এই বার্তা পেয়ে বিস্মিত। তাদের কাছে এই ধরণের বার্তা পাঠানোর অর্থ কি? এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই মোদীর এই চিঠি জারি করা হয়েছে। এই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনগনের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ এবং সমর্থনের গুরুত্ব প্রকাশ করেছেন। জনগনের সেই পরামর্শ এবং সমর্থনের গুরুত্বের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ ভারত গড়ার অঙ্গীকার পূরণের চেষ্টার বার্তাই মূলত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মোদীর এই বার্তার মাধ্যমে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে বসবসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নরেন্দ্র মোদীর এই চিঠি নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্ত বিদেশী নাগরিকরা এই বার্তা পাঠিয়ে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছে। দুবাইয়ে বসবাসকরী এক পাকিস্তানি নাগরিক মোদীর এই ভোটবার্তর চিঠি পান মধ্যরাতে। চিঠি পেয়ে খুব অবাক হয়ে যান তিনি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাছে কী পরামর্শ চাইছেন তা ভেবেই ঘুম ছুটেছে ওই পাকিস্তানি নাগরিকের। অন্যদিকে, ফাহাদ সিদ্দিকি নামে আরেক পাকিস্তানিও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, মোদীর এই ভোট বার্তা খুবই আশ্চর্যজনক। ভারতসফর করা দুবাইয়ের এক ব্রিটিশ নাগরিকও মোদীর এই বার্তা পেয়ে অবাক। মোদীর এই চিঠি পেয়ে তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন পেশাদার কোনও প্রোগ্রামের চিঠি। পরে তিনি জানতে পারেন সত্যিটি। সকল নাগরিকদের ফোন নম্বরই বা কীভাবে পাওয়া যাচ্ছে ভাবাচ্ছে বিদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিকদেরও। বিজেপির ভোটবার্তায় ক্ষুব্ধ বিজেপিও। কিভাবে এই ধরণের রাজনৈতিক বার্তা পাঠানো হচ্ছে ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।