Firhad Hakim : এ সামাজিক ব্যাধি, ববির কথায় বিতর্ক
এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৪
এই সময়: শহরের বেআইনি নির্মাণ আসলে সামাজিক ব্যধি, গার্ডেনরিচের ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এমনই যুক্তি দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, ‘এই সামাজিক ব্যধি আমি দূর করতে পারছি না।’ এই কথা বলার পরে মেয়র পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। পাল্টা বিতর্ক তৈরি হয়েছে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের বক্তব্যকে ঘিরেও।মঙ্গলবার অতীন একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বলেন,‘পুরসভা নৈতিক দায় এড়াতে পারে না। যে চেয়ারে বসে, নৈতিক দায় তাঁর। আমি কিছু মিডিয়ায় শুনেছি, কাউন্সিলার বলছেন, জানেন না। আমার ওয়ার্ড হলে আমাকেও ব্যাখ্যা দিতে হতো। গার্ডেনরিচের বেআইনি নির্মাণে শৃঙ্খলা আনতে কড়া আইন জরুরি। ভোট কেন্দ্রিক রাজনীতি, প্রশাসনের কাজের গতি শ্লথ করে।’ এই বক্তব্যে অতীন সরাসরি কোথাও মেয়রের নাম উল্লেখ করেননি। তবে তাঁর বক্তব্যের ইঙ্গিত মেয়রের দিকেই বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
এ দিন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘পুর মন্ত্রী এবং কলকাতা পুরসভার মেয়র একই ব্যক্তি। তাঁরা নিজেদের দায় এড়াতে পারেন না। অথচ অদ্ভুত ভাবে তিনি বলছেন বেআইনি নির্মাণ সামাজিক ব্যধি। সামাজিক ব্যধি যদি থাকে তবে তা তৃণমূলের। ওর উচিত এই ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করা।’ প্রায় একই সুরে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন। ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করে তিনি বলেন,‘মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল ঘাড় ধরে ওই পদ থেকে সরিয়ে জেলে ভরে দেওয়া। নৈতিকতা থাকলে এখনই পদত্যাগ করুক মেয়র।’
মঙ্গলবার দুপুরে গার্ডেনরিচের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলেন,‘প্রশাসনের দায় এড়িয়ে গেলে চলবে না। এই ঘটনায় শুধু প্রোমোটারকে জবাই করলেই হবে না। তদন্তে বড় কোনও নাম উঠে এলে তাঁকেও গ্রেপ্তার করতে হবে। আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। মানুষের কথা ভেবে এসেছি।’ এ দিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন,‘কাউন্সিলার তো পরে, এই কাজ দেখার দায়িত্ব বিল্ডিং বিভাগের। তাঁরা এসব দেখার জন্যই বেতন পান। আমরা অফিসারদের শোকজ করেছি। ভিত নির্মাণের সময় ধরা হলে, আর এই ধরনের ঘটনা ঘটত না।’