১০ জুলাই পর্যন্ত দিল্লিতে ED তলব নয়, সুপ্রিম নির্দেশে স্বস্তিতে অভিষেক
এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৪
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। প্রচার ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিল, কয়লা পাচার মামলায় ১০ জুলাই পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার জন্য দিল্লিতে তলব করবে না ইডি। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশে স্বস্তিতে অভিষেক।এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এই সময় তিনি ব্যস্ত থাকবেন। ফলে তাঁকে দিল্লিতে তলব না করার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন তিনি। এরপরেই ED-র আইনজীবী এস ভি রাজু বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনের কারণে এই সময় দিল্লিতে তলব করা হবে না অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে।' অর্থাৎ ১০ জুলাই পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার জন্য দিল্লিতে তলব করতে পারবে না ED।
১ জুনে সপ্তম দফায় ডায়মন্ড হারবারে ভোটের প্রসঙ্গ আদালতে উত্থাপন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আর্জি জানান, তাঁকে নির্বাচনের পর তলব করার জন্য। সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর তলব করা হয়নি বলে জানান। পাশাপাশি কলকাতার ক্ষেত্রে অবশ্য আপত্তি করা হয়নি।
মামলাটির পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে ১০ জুলাই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি প্রমাণ হয় এক পয়সাও নিয়েছি সেক্ষেত্রে মৃত্যু বরণ করে নেব।'
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার এজেন্সি রাজনীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরোধী নেতারা। গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর এই প্রসঙ্গে তীব্র আক্রমণের সুর শোনা গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের কণ্ঠে।
উল্লেখ্য, ভোটের প্রচারে ব্যস্ত অভিষেক। গত ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ থেকে লোকসভা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই দিনই ৪২ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এরপরেই জেলায় জেলায় গিয়ে সভা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তিনি মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন এবং সেখানে সভা করেছেন। পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও সভা করছে তিনি।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এই প্রথম বুধবার বসিরহাটে সভা করতে চলেছেন অভিষেক। এদিন বিএসএসএ ময়দানে বক্তব্য রাখবেন তিনি। তাঁর সভার প্রস্তুতি তুঙ্গে। রাজ্যে এসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সুর চড়াতে শোনা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। এদিনের সভা থেকে পালটা জবাব দিতে পারেন অভিষেক, এমনটাই মতামত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।