• 'গোঁসা হয়নি', টিকিট না পাওয়ার ১০ দিন পর মুখ খুললেন তৃণমূলের মৌসম
    এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৪
  • ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল। এরপর বঙ্গ রাজনীতির গতি বাড়িয়েছে ভোট। কিন্তু, সেভাবে কোনও জনসভায় দেখা যায়নি মালদার মৌসম নুরকে। গত কয়েকদিন তাঁকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলেছিল জেলা রাজনীতিতে। অনেকেই বলছেন, প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কি তিনি সন্তুষ্ট নন! অনেকে আবার তাঁর দল বদল নিয়ে ফিসফাস শুরু করেছিলেন। অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এলেন তিনি।এবার উত্তর মালদা কেন্দ্রে তাঁর পরিবর্তে প্রাক্তন IPS প্রসূণ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে বিস্তর চর্চা হয়েছিল জেলা রাজনীতির অন্দরেই। এরই মধ্যে জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা গনি পরিবারের অন্যতম সদস্য ইশা খান চৌধুরী বলেছিলেন, মৌসম কংগ্রেসে এলে দল শক্তিশালী হবে। কংগ্রেসের দরজা তাঁর জন্য খোলা। তবে মৌসম যে যোগাযোগ করেননি, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি।

    এরপরেই জলঘোলা হতে শুরু করেছিলেন জেলা রাজনীতির অন্দরে। কিন্তু, এবার প্রকাশ্যে এসে সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢাললেন মৌসম। বুধবার তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি উত্তর মালদা কেন্দ্রে দু’বার সাংসদ ছিলাম। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীও ছিলাম৷ উনিশের নির্বাচনে আমি বিজেপির কাছে হেরে যাই৷ সেইবার একই পরিবার থেকে দু’জন দুই দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আমাদের ভোট ভাগাভাগি হয়েছিল। আর তার লাভ তুলেছিল বিজেপি।'

    তিনি আরও বলেন, 'এবার আমার ধারণা ছিল, টিকিট পেলে আমি জিতবই। বিজেপিকে হারাতে একটা প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছিল। আমাদের নেত্রী এবং দলের সিদ্ধান্ত, এই আসনে প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হবেন। দলের একজন সৈনিক হিসেবে সেই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। দল যা ঠিক মনে করেছে, তা মেনে নিয়েছি।'

    নিজের মালদার বাইরে থাকার কারণও ব্যাখ্যা করেন মৌসম। তিনি বলেন, 'অসুস্থ থাকায় আমি কিছুদিন কলকাতায় ছিলাম। ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতেও যেতে হয়েছিল। প্রার্থীর হয়ে অবশ্যই প্রচারে নামব। আশা করি, এবার জেলার দুটি আসনেই তৃণমূল জিতবে। প্রচার নিয়ে আলোচনা করব। এরপরেই ময়দানে নামব।'

    উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে তিনি বিধায়ক হন। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে উত্তর মালদা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মৌসম। ২০১৯ সালে তিনি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হন। কিন্তু, বিজেপির কাছে তিনি পরাজিত হন। আপাতত তিনি রাজ্যসভার সাংসদ।
  • Link to this news (এই সময়)