লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতাতে সবুজ সংকেত দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রস্তাবিত প্রার্থী তালিকাতে সম্মতি দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড, সূত্রের খবর এমনটাই। এদিকে বুধবারই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার কথা হাত শিবিরের। তার আগেই রামপুরহাটের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি জায়গায় কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মিল্টন রশিদের নামে দেওয়াল লিখন দেখা যায়। ঘটনায় দলীয় কর্মীদের ইতিমধ্যেই ভর্ৎসনা করেছেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। ঘটনায় অসন্তুষ্ট সিপিএমও।রামপুরহাটের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি জায়গায় মিল্টন রশিদের নামে দেওয়াল লিখন দেখা যায়। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। বীরভূমের বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী নিয়ে এখনও প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। তারই মধ্যে এই দেওয়াল লিখনের জেরে কার্যত তীব্র অস্বস্তিতে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, 'আমাদের মূল লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে। আর তাই এত কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে জোট করে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বা কালকের মধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে। কিন্তু, একটা শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে এগিয়ে না গেলে যৌথভাবে লড়াই করা খুব কঠিন। তাই দেওয়াল লিখন করে যাঁরা শৃঙ্খলা ভাঙছেন তারা ঠিক করছেন না।'
ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, 'আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। আর এই ঘটনা সত্যিই আমাকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। আসলে আমি কয়েকজন কর্মীকে বলে রেখেছিলাম কয়েকটি দেওয়ালে চুন, রং করে রাখতে। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে একজন কর্মী যে এভাবে দেওয়াল লিখন করবে তা বুঝতে পারিনি। তা জানতে পেরে ওকে বকাবকি করেছি। ওরা বলল সংবাদ মাধ্যমে আমার নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখে আবেগের বসে লিখে ফেলে।'
এদিকে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। সেখানে প্রার্থী শতাব্দী রায়। এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। দেওয়াল লিখন নিয়ে এই বিভ্রাট প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে শতাব্দী রায়ের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘মিল্টনবাবু এলে ওয়েলকাম। তবে যেন দেওয়াল লিখনেই না থেকে যান। বাস্তবে রাজনীতির লড়াইয়ে আসুন, এটাই চাইব।’ ইতিমধ্যেই প্রার্থী হিসেবে একাধিক নাম ঘোরাফেরা করছে। এখন কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকার দিকে তাকিয়ে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল।