প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রায়গঞ্জে। কিন্তু, এখনও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের জন্য কোনও প্রার্থী দেয়নি BJP। আর তা নিয়ে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে BJP প্রার্থী করেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরীকে।পদ্ম প্রতীকে লড়াই করে ভোটে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। এদিকে এই বছর তৃণমূল সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে কৃষ্ণ কল্যাণীকে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে লড়ে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। পরে যোগদান করেন তৃণমূলে। রাজ্যের শাসক দলের লোকসভার প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণ কল্যাণী ইতিমধ্যেই প্রচার ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে।
রায়গঞ্জের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার তিনি শিলিগুড়ি থেকে ইটাহার যাচ্ছিলেন। পথে ইসলামপুরের একটি হোটেলে খাওয়াদাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, 'প্রচুর প্রার্থী রয়েছে। অনেকেই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াতে চান পদ্ম প্রতীকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রার্থী নির্বাচিত করবে এবং দ্রুত ঘোষণা করবে।'
উল্লেখ্য, বিজেপির প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে একাধিক নাম। এর মধ্যে রয়েছেন প্রবীর দাস, সচিন প্রসাদ, অশোক লাহিড়ির নাম। তাঁদের মধ্যে সচিন প্রসাদ পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে চাকুলিয়া থেকে পদ্ম শিবিরের প্রার্থী হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, কার্তিক পাল ছিলেন কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান। যদিও এভাবে প্রার্থী ঠিক হয় না এবং পুরোটাই থাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে, সাফ জবাব জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ ভট্টাচার্য ডানান, এই বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ঘোষণা করবেন।
এদিকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল। প্রার্থী ঘোষণায় বিলম্ব প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ঝাঁঝাল স্বরে আক্রমণ করেছেন বিজেপিকে। গত লোকসভা নির্বাচনে দেবশ্রী চৌধুরী জয়ী হওয়ার পর তাঁকে আর এলাকায় দেখা যায়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি।