থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার আক্রান্ত! শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপি-র
২৪ ঘন্টা | ২০ মার্চ ২০২৪
কিরণ মান্না: মার খেয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রেপ্তার বিজেপি কর্মী। ভূপতিনগর থানার অন্তর্গত বরজ এলাকায় চিড়াকুঠি গ্রামে মঙ্গলবার বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক পাড়ার পুজো দেখতে যায়। তখনই তাদের উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূলের লোকজন এমনটাই অভিযোগ।দাবি করা হয়েছে যে লাঠি সোটা নিয়ে ব্যাপক মারধর চালায় ওই তৃণমূল সমর্থকরা। মারধরে আহত হয় বেশ কয়েকজন এমনটাই অভিযোগ বিজেপির।
ঘটনার কিছু সময় পর দীপক মাইতি নামে এক বিজেপি কর্মী হাসপাতালে গেলে সেখানেও তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে ভূপতিনগর থানার পুলিস দীপক মাইতিকে আগেভাগে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ।অভিযোগ শাসকদলের যোগসাজোসে এমন গ্রেফতার করেছে পুলিস। ভোটের মুখে বিজেপির কর্মী-নেতাদের পরিকল্পিতভাবে পুলিস গ্রেফতার করছে। তারই প্রতিবাদে ভগবানপুর বিধানসভার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালে পুলিস তা নাকোচ করে।তখনই বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন। দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করার ফলে পুলিস বিধায়কের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।এরপর বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে বিপুলসংখ্যায় জড়ো হয়ে উত্তেজনা এবং বিক্ষোভ দেখায়। পুলিসের সঙ্গে বচসা এবং উত্তেজনা চলে। পুলিসের তরফে বিজেপির কর্মীদের ইঁট ছুঁড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে।রাতভর দফায় দফায় চলে উত্তেজনা। ওই বিজেপি কর্মীকে না ছাড়ায় বৃহত্তর আন্দোলনে ডাক দিয়েছে বিজেপি। পুলিসকে ইঁট মারা ও পুলিসের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগে আরও দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।এই বিষয়ে পুলিসের তরফে কিছু বলতে অস্বীকার করলেও জানা গিয়েছে যে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষের একটি পুজো অনুষ্ঠান ঘিরে গন্ডগোল মারপিট হয়েছিল। তাতে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। তারা আগে অভিযোগ করেছে। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বিজেপির কর্মীকে। বিজেপির পক্ষেও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।বিজেপির করা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল জানিয়েছে যে তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপক মারধর করেছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। হাত ভেঙে দিয়েছে, মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে এবং গুরুতরভাবে জখম করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, ‘আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি আইন আইনের পথে চলবে’।