প্রদ্যুত দাস: বৃষ্টি জলপাইগুড়িতে। মিলে গেল আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। গতকাল, মঙ্গলবার রাত ১১ টা নাগাদ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। এর আগের দুদিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়েছিল জলপাইগুড়িতে। তাপমাত্রা প্রায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ছিল। রাতে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটা নেমে যায়। ফলে, ফের শীতের আমেজ পাওয়া যায়। অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতেই উত্তরের ছয় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বলে হলুদ সতর্কতা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। আজ, বুধবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলা জুড়েই।
আবহাওয়ায় দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল আগেই। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার রাত থেকেই জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি। এ কারণে আবহাওয়ার শুষ্ক-রুক্ষ ভাব কাটিয়ে সতেজ হয়েছে জনপদ-রাজপথ-চাষজমি।এদিকে দেরিতে হলেও বৃষ্টির জল পেয়ে চনমনে চা-বাগানের দেশ। দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশে ফিরেছে কাজের ব্যস্ততা। জঙ্গল ছেড়ে শহরমুখী বন্যপ্রাণীদের মধ্যেও চোখে পড়ে চাঞ্চল্য। প্রাতঃভ্রমণকারীরা খুশিতে। বৃষ্টিভেজা সকালে পথের ধারে সেরে নিচ্ছেন ব্রেকফাস্ট। হাসি ফুটেছে তিস্তাপাড়ের বাদামচাষি আরতি দাসের মুখে। আবহাওয়া-প্রসঙ্গে তিস্তাপাড়ের সুকান্তপল্লির আরতি দাস বলেন, খুবই ভালো হল, জমি শুকিয়ে যাচ্ছিল। আমরা বাদাম, ঢেঁড়স চাষ করি। এই বৃষ্টিতে অনেক উপকার হল চাষের। সব মিলিয়ে বছরের প্রথমবর্ষণে খুশির আমেজ জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরের সমতলে।আজ, বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি শহর থেকে ডুয়ার্স-- সাক্ষী থেকেছে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির। বসন্তের অকালবর্ষণে অনেকটাই নেমেছে তাপমাত্রার পারদ।