টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগে FIR, পালটা হাইকোর্টে প্রোমোটার
এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৪
টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া FIR খারিজের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে বিতর্কিত প্রোমোটার ভোলা পাইক। বিচারপতি মামলার তদন্তভার পাঠালেন সিআইডির হাতে। মঙ্গলবারই এই একই ঘটনায় এক সাংবাদিকের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে তদন্তভার সিআইডির হাতে দেয় আদালত। ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগের মামলায় হাইকোর্টের রোষের মুখে তদন্তকারী অফিসার।জলা বুজিয়ে বাইপাসের ধারে বহুতল গড়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সাত আট বছর আগে ধাপে ধাপে নগদে প্রায় ২৭ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। অথচ মঙ্গলবার এই একই মামলায় আদালতের প্রশ্নের উত্তরে ওই তদন্তকারী অফিসার নগদে টাকা দেওয়ার তথ্য লুকিয়ে যান বলে অভিযোগ। আদালতের বক্তব্য, এক রাতের মধ্যে কী এমন ঘটলো, কে তাকে কী নির্দেশ দিলেন, যার জন্য তিনি আজ (বুধবার) এই তথ্য আদালতকে জানালেন। আবার একজন বাক্তি সাত আট বছর আগে ২৭ লাখ টাকা দেওয়ার পরে কিসের কারণে এতদিন চুপ করে বসেছিলেন, সেটাও স্পষ্ট নয়। আবার হটাৎ এক গভীর রাতে থানায় গিয়ে অভিযোগ করলেন। আর পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে FIR করল সেটাও স্পষ্ট নয়।
এই অবস্থায় এই মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হলো। আজই কেস ডাইরি সহ যাবতীয় নথি সিআইডির হতে তুলে দিতে হবে নরেন্দ্রপুর থানাকে। মামলার পরবর্তী শুনানিতে ২৬ এপ্রিল। ওই দিন সিআইডিকে রিপোর্ট দিতে হবে। একইসঙ্গে রাজ্যকেও এই নিয়ে নিজেদের বক্তব্য রিপোর্ট আকরে ওই শুনানির দিন জানাতে হবে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় পুলিশ এক সাংবাদিককে জড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও আদালত নির্দেশ দেয়, মামলাকারী ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের নির্দেশ ছাড়া চূড়ান্ত অর্ডারও দিতে পারবে না সিআইডি। তা ছাড়া ওই সাংবাদিকের বাড়ি থেকে পুলিশের নিয়ে যাওয়া দু'টি পেন ড্রাইভ থেকে কোনও তথ্য নিতে পারবে না সিআইডি বা পুলিশ। ওই দু'টি পেন ড্রাইভ 'সিল' করে রাখতে হবে।
বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির নামে হেনস্থার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ওই সাংবাদিক। তাঁর আইনজীবীর অভিযোগ, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি রাত ১২টায় নরেন্দ্রপুর থানায় যান। এক প্রোমোটারের নামে অভিযোগ করে তিনি জানান, সাত-আট বছর আগে ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। টাকা নিয়েও তাঁকে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অত্যন্ত দ্রুত প্রাথমিক অনুসন্ধানের সঙ্গে সঙ্গেই অভিযোগের এফআইআর করে পুলিশ। অরুণের দাবি, ওই সাংবাদিকই সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন। কিন্তু এফআইআরে সাংবাদিকের নাম নেই। তা সত্ত্বেও ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি তল্লাশি চালানো হয় সাংবাদিকের বাড়িতে। তিনি হেনস্থার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।