Budaun Murder Case : রিয়েল লাইফ শয়তান! জাদুটোনার জন্যই খুন? বদায়ুঁকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৪
ভরসন্ধেয় বাড়িতে ঢুকে দু দুটি বাচ্চাকে কুপিয়ে খুন। মঙ্গলবার এমনই হাড় হিম করা ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল উত্তর প্রদেশের বদায়ুঁর বাবা কলোনি। নিহত শিশুদের পরিবারের অভিযোগ, খুনের পর শিশুদের রক্ত খেয়েছিল সাজিদ। মুখে লেগেছিল রক্তের দাগ। প্রশ্ন উঠছে, তহলে কী তন্ত্রবিদ্যার জন্যই প্রাণ দিতে হল দুই নিষ্পাপ শিশুকে?ঠিক কী হয়েছিল?মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ স্থানীয় ঠিকাদার বিনোদ কুমারের বাড়িতে যায় সেলুন মালিক বছর বাইশের মহম্মদ সাজিদ। সঙ্গে ছিল তার সহকারি জাভেদ। বিনোদের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী পেশায় বিউটিশিয়ন সঙ্গীতার কাছ থেকে কিছু জিনিস কেনে। তারপর সজিদকে পান করতে দেন সঙ্গীতা। চা খেতে খেতে সাজিদ সদান বিনোদের ছাদে উঠে যায়। সেই সময় বাড়ির নীচেই বসেছিল জাভেদ। ছাদে সেই সময় বিনোদের দুই শিশু খেলা করছিল। অভিযোগ, ছাদে উঠেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই শিশুকে এলোপাথাড়ি কোপায় সজিদ। ঘটনা জানাজানি হতেই বিনোদের বাড়ির সমনে ভিড় করে লোকজন। তবে ভিড়ের মধ্যে দিয়েই বেরিয়ে যায় সাজিদ। ততক্ষণে সেখানে পোঁছয় পুলিশ। শেষপর্যন্ত পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সাজিদের।
খুনের কারণ কি তন্ত্রবিদ্যা?স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সন্তান নিয়ে সমস্যায় চলছিল সাজিদের জীবনে। জন্মের পরেই মৃত্যু হয়েছিল সাজিদের পাঁচ পাঁচটি শিশুর। কোনওভাবেই বঁচানো যাচ্ছিল না শিশুদের। এবিষয়ে সাজিদ একবার নিহত শিশুদের মাকেও বলেছিল। সম্প্রতি সাজিদের স্ত্রী ফের সন্তানসম্ভবা হন। খুব তাড়াতাড়িই মহিলা জেলা হাসপাতালে সাজিদের স্ত্রীর ডেলিভালি হওয়ার কথা ছিল। সেই কারণে সঙ্গীতর থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধারও নেয় সাজিদ। অভিযোগ, এরপরই ছাদে উঠে শিশুদের খুন করে সে। নীচে আরও এক শিশুর ওপর হামলা চালালেও প্রাণে বেঁচে যায় সে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খুনের পরই পালিয়ে যায় সাজিদ। ততক্ষনে ছড়িয়ে পড়েছে খুনের খবর, স্থানীয় লোকেরা ধরার চেষ্টা করলেও সজিদ পালিয়ে যায়। তবে জাভেদ তারপরেও প্রায় দশ মিনিট পর্যন্ত সেখানে দাঁড়িয়েছিল। পরে পুসিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সাজিদের। আপাত পুলিশের হেফাজতে জাভেদ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকেই থমথমে গোটা এলাকা। বিনোদ কুমারের বড়ির সমনে রত থেকেই বসেছে পুলিশে পাহারা। বাড়িতে ঢুকে এইধরণের হত্যালীলায় আতঙ্কিত স্থানীয় বসিন্দারা। এতোদিনের পরিচিত সাজিদ কেন শিশুদের প্রতি এতো নৃশংস হল তা ভবতে পারছে না বিনোদের পরিবার।