• মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি, চাঞ্চল্য খড়গপুরে
    এই সময় | ২০ মার্চ ২০২৪
  • খড়গপুরে এক তৃণমূলের কাউন্সিলরের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য। খড়গপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটেছে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে টাকা, গয়না লুঠ করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে রেল কলোনির মথুরাকাটিতে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বনথা মুরলীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, সে সেময় কাউন্সিলর বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী বিজয়া একাই ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ চার জন বাইকে চেপে কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়।

    তাঁরা কাউন্সিলরের খোঁজ করে তাঁর বাড়িতে ঢোকে। মুখে রুমাল বাধা অবস্থায় জোর করে বাড়িতে ঢুকে পড়ে তারা। কাউন্সিলরের স্ত্রী বিজয়া দেবী জানান, প্রত্যেকের মুখে মাস্ক পরা ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা বিজয়ার হাত–পা বেঁধে ফেলে। এরপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে চলে ডাকাতি। বলপূর্বক আলমারি ভেঙে আরও গয়না এবং নগদ টাকা বের করে নেন তারা। কয়েক লাখ টাকার সোনার গয়নাসহ নগদ টাকা ছিনতাই করে পালায় দুষ্কৃতীরা।

    ডাকাতির ঘটনার পর খড়গপুর টাউন থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এখনও কাউকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা যায়নি। ফলত, উদ্ধার করা যায়নি লুট হয়নি সোনা ও নগদ টাকা। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বান্তা মুরলী এলাকায় এই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে নালিশ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের ধরার ব্যাপারে পুলিশকে আর্জি জানানো হয়েছে।

    গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একজন কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে এভাবে ডাকাতির ঘটনায় রীতিমত অবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলেই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস খড়গপুরের গোলবাজারের একটি সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছিল। যদিও এই ডাকাতির ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন নিতে শুরু করে দেয় পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাকাত দলের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এবার দোকানে না হয়ে সরাসরি বাড়ির ভেতর ঢুকে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
  • Link to this news (এই সময়)