• রাত পোহালেই বহরমপুরে ইউসুফ, নবাবের শহরের কোথায় 'পাঠান বাড়ি'?
    এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
  • আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর আসনে ইউসুফ পাঠানকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। তারপর থেকেই উচ্ছ্বাস উদ্দিপনা নিয়ে ইউসুফ পাঠানের সমর্থনে প্রচারে নমে পড়েছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। একইসঙ্গে অপেক্ষা ছিল কবে বহরমপুরের মাটিতে পা রাখবেন ইউসুফ। এবার শেষ হতে চলেছে সেই অপেক্ষা। বৃহস্পতিবারই বহরমপুর ঢুকছেন ওই লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় ইউসুফ পাঠান।তারকা প্রার্থীর বহরমপুরে থাকার বন্দোবস্তও ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও প্রার্থীর নিরাপত্তাজনিত কারণে এখনই তা সামনে আনতে চাইছে না তৃণমূল। তবে ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর, বহরমপুর শহরের লালদিঘি পাড় এলাকার একটি বিলাশবহুল ফ্ল্যাট ঠিক করা হয়েছে তাঁর জন্য। এদিকে দলীয় প্রার্থী নিজের কেন্দ্রে প্রচারে আসার আগেই তৃণমূল নেতৃত্ব ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সুর নরম করতে পেরেছে। সূত্রের খবর, ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচারে রাজি হয়েছেন হুমায়ুন কবীর।

    গত ১০ মার্চ বিগ্রেডের সভামঞ্চ থেকে বহরমপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন থেকেই মুর্শিদাবাদের ক্রীড়া প্রেমী সহ বিভিন্নমহল ইউসুফ পাঠানকে কাছ থেকে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বিরোধী দলের সমর্থকরাও ইউসুফকে দেখার জন্য উৎসুক হয়ে রয়েছেন। যুব সমাজ কার্যত ইউসুফের সঙ্গে সেলফি তোলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার বহরমপুরে মাটিতে পা রাখতে চলেছেন তিনি।

    Lok Sabha Election 2024 : জনগর্জন সভার মঞ্চ থেকে ৪২ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা তৃণমূলের, এক নজরে তালিকা

    এই প্রসঙ্গে, বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আগামীকালই (বৃহস্পতিবার) শহরে ঢুকছেন ইউসুফ। থাকার জায়গাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রার্থী চাইলে বিকল্প ব্যবস্থাও করা হবে। তবে এখনই থাকার জায়গায় নাম সামনে আনতে দলীয়স্তরে মানা রয়েছে।' মনে করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব সেরেই অধীর চৌধুরীর চেনা পিচে ব্যাটিং করতে নামবেন ইউসুফ পাঠান।

    এদিকে বহরমপুর কেন্দ্রে ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষনা হতেই বেঁকে বসে একপ্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন কবীর। দলের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম এসেও চিড়ে ভেজাতে পারেননি। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে একান্ত বৈঠক থেকে বেরিয়ে হুমায়ুন বলেছিলেন, 'যে সমস্যার সমাধান করতে পারেন না তাঁর কথা মানি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন তাই শুনব।' হুমায়ুনের মন্তব্যে দলের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছিল। তবে তিনি প্রচারে রাজি হওয়ায় অবশেষে সেই অস্বস্তির মেঘও কাটল বলে মনে করা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)