জোর করে প্রস্রাব খাওয়ানো, জুতো চাটানো! কেন এই মধ্যযুগীয় অত্যাচার'
২৪ ঘন্টা | ২১ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জোর করে প্রস্রাব পান, জুতো চাটতে বাধ্য করা। এমনই লজ্জাজনক ঘটনা ঘটে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে। জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি একজন মহিলার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই মহিলা ছিলেন বিবাহিত। তারই জেরে এমন অমানবিক অত্যাচার করা হয় ওই ব্যক্তির উপর। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে প্রথমে মারধর করা হয়। পরে জোর করে প্রস্রাব পান করানো হয় এবং জুতোর মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার কিছু ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। পুলিসকে এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তি কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।
ভিডিয়োগুলির একটিতে, ব্যক্তিটিকে জুতোর মালা পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। সেখানে তাঁকে একটি বোতল থেকে প্রস্রাব বলে মনে করা তরল পান করতে দেখা যায়। সেই সময় আশেপাশের লোকেরা ওই ব্যক্তির উপর চিৎকার করে এবং তাঁকে এটি খেতে বাধ্য করে। যে মহিলার সঙ্গে সে পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁকেও মারধর করতে দেখা গিয়েছে।অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, লোকটি তাঁর হাতে থাকা একটি চটি চাটছে। এবং তাঁকে বাধ্য করা হচ্ছে তাঁর মাথায় আরকেটি চটি যাতে সে রাখে। শুধু তাই নয়, ভিডিয়োতে এ-ও দেখা যায় যে, ব্যক্তিটির অর্ধেক গোঁফ এবং চুল কেটে দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিস সুপার নীতেশ ভার্গব সাংবাদিকদের বলেন যে, তাঁরা ভিডিয়োগুলিকে যাচাই করেছেন। সেইগুলি তিন-চারদিন পুরনো ক্লিপিংস। পুলিস সুপার বলেন, 'ভিডিয়ো গুলি পুলিসের নজরে আসার পর, আমরা সক্রিয়ভাবে নির্যাতিতার বাড়িতে যোগাযোগ করি। কিন্তু সেখানে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।'তিনি আরও বলেন, 'আমি ভুক্তভোগীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। এবং সে আমার সঙ্গে দেখা করবে বলে বলেছে। অভিযুক্ত এবং ঘটনার স্থান যাচাই করার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' ঘটনার পিছনের কারণ সম্পর্কে, কর্মকর্তা বলেছেন এটি এখনও পরিষ্কার নয়। ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলার পরে নিশ্চিত করা হবে।পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর তরফ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
সূত্রের খবর, ঘটনাটি জেলা সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে ভাটপাচলনা থানার সীমানার অন্তর্গত ভিলখেদি গ্রামের বানজারা সম্প্রদায়ের একজন বিবাহিত মহিলার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ছিল।