• তুরস্কের ভূমিকম্পে বাঁচিয়েছে বহু প্রাণ, ভরসার জুলি-রোমিও এবার গার্ডেনরিচে
    ২৪ ঘন্টা | ২১ মার্চ ২০২৪
  • পিয়ালি মিত্র: জুলি ও রোমিকে চেনেন? তুরস্কের ভূমিকম্পের উদ্ধার কাজের পর একটি অনুষ্ঠানে যাদের প্রশংসায় মুখর হয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এই জুটি আসলে হল এনডিআরএফ-এর কেনাইন টিমের দুই সেরা সৈনিক। ল্যাব্রাডর। গভীর ধ্বংসস্তূপের নিচে যদি কোনও মানুষ আটকে থাকেন বা চাপা পড়ে থাকেন, তাহলে নিজেদের প্রবল ঘ্রাণ শক্তির জোরে সেই মানুষকে খুঁজে বের করতে মাহির জুলি- রোমিও। তুরস্কে ভূমিকম্পের উদ্ধার কাজে গিয়ে এই জুটির অসংখ্য ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সাহায্য করেছিল এনডিআরএফ-কে।

    সেই জুলি ও রোমিও জুটিই গত তিনদিন ধরে এনডিআরএফ-এর সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কলকাতার গার্ডেনরিচে।গত রবিবার গভীর রাতে গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে। বেআইনি সেই নির্মাণের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন অন্তত তিরিশ জন। প্রাথমিক ভাবে উদ্ধার কাজে নামে কলকাতা পুলিস, দমকল, ডিএমজি। পরেরদিন কাজে নামে এনডিআরএফ। ইতিমধ্যে দশ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।এনডিআরএফ-এর বক্তব্য, পোস্তা উড়ালপুলের দুর্ঘটনার পর কলকাতায় অনেক বছর পর এত বড় উদ্বার কাজে নামেন তারা। কিন্তু গার্ডেনরিচের ঘটনাস্থলের উদ্ধার কাজে গিয়ে প্রথম থেকেই অনেক বেশি চ্যালেঞ্জে মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।এর কারণ সরু রাস্তা। যন্ত্রাংশের গাড়ি, জেসিবি দাঁড় করানোর জায়গা নেই। পুরো কাজ করতে হচ্ছে ম্যানুয়ালি। এক্ষেত্রে ভিকটিমকে খুঁজে পেতে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিকটিম লোকেশন ক্যামেরা (VLC)-র মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।যে ক্যামেরার সাহায্য ধ্বংসস্তূপের নির্দিষ্ট কোন জায়গায় কেউ আটকে রয়েছে তা দেখা যায়। তারপর সেই কংক্রিটের জায়গা কেটে বা সরিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন এনডিআরএফ কর্মীরা। পরিস্থিতি বুঝে নিয়ে আসা হয় জুলি- রোমিকেও।গার্ডেনরিচে এখনও একজনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা যে আর কেউ আটকে নেই, ততক্ষণ উদ্ধার কাজ চলবে বলে জানাচ্ছে এনডিআরএফ-এর আধিকারিকরা। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)