CAA : রমজান মাসে জারি সিএএ, ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে ‘মাথা ব্যথা’ আমেরিকার
এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই ভারতে জারি করা হয়েছে সিএএ। এবার ভারত সরকারের সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই মন্তব্য করল আমেরিকা। রমজাম মাসে সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির ফলে ভারতীয় মুসলিমরা বিপাকে পড়বেন বলে দাবি আমেরিকার এক সাংসদের। এই প্রথম নয়, কয়েক সপ্তাহ আগেই সিএএ র বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও মন্তব্য করেন। বলা হয়, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জারি বিবৃতি নিয়ে গভীর চিন্তায় আছে আমেরিকা। আরও জানানো হয়, ভারতে কী ভাবে এই আইন কর্যকর করা হসে তার ওপরও নাকি কড়া নজর রাখছে আমেরিকা।তবে সেই সময়ই আমেরিকাকে ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আমেরিকা যা বার্তা দিচ্ছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তবে এতো কিছুর পরেও এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন সেনেটর বেন কার্ডিন। যদিও এই নিয়ে কেন্দ্র সরকার আগেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে সিএএ-র ফলে ভারতের সংখ্যালঘুদের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। হিন্দুদের মতো সংখ্যালঘুদেরও সমান অধিকার বজায় থাকবে।
কিন্তু, ভারতের এই বার্তাও বদলাতে পারেনি মার্কিন প্রশাসনের মনোভাব। মার্কিন সেনেটের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান এই বেন কার্ডিন। তাঁর মন্তব্য মার্কিন বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে সিএএ-র ফলে ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব কোনওভাবেই যাবে না বলে আগেই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রশ্ন উঠছে, বারবার বার্তা দেওয়ার পরও মার্কিন প্রশাসনের এহেন মনোভাব ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না তো? এর উত্তর পাওয়া যাবে অদূর ভবিষ্যতেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নারগিকত্ব সংশোধন আইন জারি হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। এই আইনের বিরোধিতা জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। মোট ২৩৭টি আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। জম পড়া আবেদনগুলির মধ্যে বেশিরভাগক্ষেত্রেই সিএএর ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জমা পড়ে।
যদিও এখনও পর্যন্ত এই আইনে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। তবে অবস্থানসপষ্ট করার জন্য কেন্দ্র সরকারকে নোটিস ইস্যু করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ৯ এপ্রিল পরবর্তীর শুনানি হে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৯ এপ্রিলের মধ্যে যদি কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয় তাহলে কোনও আবেদনকারী বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে পারে বলে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।