Lok Sabha Election 2024 : ‘পাপ্পু কি মা’, ‘সোনু কি লুগাই’! ভোটার লিস্ট দেখে খ কমিশনও
এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
এই সময়: সদ্য স্বাধীন ভারত তখন সবে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। এ দিকে আবার দেশভাগের ঘা-ও দগদগে। এরই মধ্যে খবর এল— ভোট হবে। সময়টা ১৯৫১। ভোটটা অবশ্য হয়েছিল পুরো ৪ মাস ধরে, ৬৮ দফায়! ১৯৫১-র ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু করে পরের বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।‘গ্রেট ইলেক্টোরাল এক্সপেরিমেন্ট’ —গোটা দুনিয়াকে ভারতের ক্যারিশমা দেখিয়ে চমকে দিয়েছিলেন দেশের প্রথম ইলেকশন কমিশনার সুকুমার সেন। ৪৮৯টি লোকসভা আসনের লড়াইয়ে নেমেছিলেন ১৮৭৪ জন প্রার্থী। কিন্তু ভোট কী, কেন দেওয়া উচিত, কী ভাবে দিতে হয়— প্রায় ১৮ কোটি ভোটারকে বোঝাতে গিয়ে কালঘাম ছুটে গিয়েছিল কমিশনের।
মাসখানেক ধরে চলে ‘মক’ ইলেকশনও। কেমন হয়েছিল ভোট? ১৯৫৫ সালে এ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করে কমিশন। তা থেকে জানা যায়, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জোগাড় করা ২০ থেকে ৮০ লাখ মহিলা ভোটারের বেশির ভাগ নামই শেষমেশ ভোটার লিস্ট থেকে ছেঁটে ফেলতে হয়।
সে কী? মহিলা ভোট জোগাড়ে তো ইদানীং সব দলই জান লড়িয়ে দিচ্ছে। এত ভোট তা হলে প্রথম বারই নষ্ট করা হয়েছিল কেন? সে জবাবও দিয়েছিল কমিশন। জানিয়েছিল— ‘পাপ্পু কা আম্মা’ কিংবা ‘সোনু কি লুগাই’ দিয়ে কি আর লিস্ট করা যায়। কমিশনের দাবি, দোরে-দোরে ঘুরে রেজিস্ট্রাররা যখন ভোটার লিস্ট বানাচ্ছিলেন, তখন বিহার, ইউপি, রাজস্থানের মতো কিছু রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার মহিলারা অপরিচিত পুরুষমানুষের কাছে কিছুতেই নিজেদের আসল নাম বলতে চাননি!
তাই স্বামী কিংবা সন্তানের নামে পরিচয়— এটাই নাকি প্রথা ছিল সেই দেশ-কালের। কিন্তু ভোটদান তো ব্যক্তি অধিকার! সেখানে নিজের নাম না-বললে চলে নাকি! লিস্ট ফাইনাল করার ক্ষেত্রে এক মাস সময় বাড়িয়েও সেবার ‘মানুষ’ করা যায়নি লিস্ট! ফাইনালি তাই দেশের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে বাদই পড়েছিল অন্তত ২০ লক্ষ মহিলা ভোটার!