এই সময়: নিহত পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মা ৫৮ বছর বয়সে আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হওয়ার পর ফের একবার ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজ়েশন’(আইভিএফ) পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার বয়সসীমা স্মরণ করিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২২ সালের ২৯ মে পাঞ্জাবের মানসায় খুন হন বিখ্যাত গায়ক সিধু মুসেওয়ালা।এই মার্ডার কেসে নাম জড়ায় লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রারের মতো গ্যাংস্টারের। ছেলের মৃত্যুশোক ভুলতে সিধুর মা চরণ কৌর আইভিএফ পদ্ধতিতে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। গত সপ্তাহে ভাতিন্ডার জিন্দল হাসপাতালে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন চরণ কৌর। সিধুর বাবা বলকৌর সিং জানান, আশার আলো নিয়ে এসেছে বলে দ্বিতীয় ছেলের নাম তাঁরা রেখেছেন শুভদীপ।
এদিকে, বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধিকর্তা এস কে রঞ্জনের একটি চিঠি। গত ১৪ মার্চ পাঞ্জাবের স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রের বক্তব্য, সিধু মুসেওয়ালার মা চরণ কৌর ৫৮ বছর বয়সে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
‘অ্যাসিসটেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজি (রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ২০২১’ অনুযায়ী ২১-৫০ বছর বয়সি মহিলারা এআরটি সার্ভিসের সাহায্যে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সিধুর মা কী করে এত বেশি বয়সে আইভিএফের সাহায্যে সন্তান নিলেন, সেই ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে পাঞ্জাব প্রশাসনকে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সিধু মুসেওয়ালার বাবা বলকৌর সিং ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের বৈধতা নিয়ে নানা প্রশ্ন করছে পাঞ্জাব প্রশাসন। সদ্যোজাতের আইনি কাগজপত্র দেখতে চেয়ে বার বার তাগাদা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের কাছে বলকৌরের আর্জি ছিল, সদ্যোজাতের নথি জমা দেওয়ার জন্য তাঁকে একটু সময় দেওয়া হোক।
বলকৌরের সেই পোস্টের জবাব হিসেবেই এদিন কেন্দ্রের চিঠিটি টুইট করেছে পাঞ্জাবের আপ প্রশাসন। তাদের বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সব সময় পাঞ্জাবীদের ভাবাবেগ এবং মর্যাদাকে সম্মান দেন। তাই তাঁরা কোনও নথি চাননি, কেন্দ্রীয় সরকারই এ ব্যাপারে নথিপত্র চাইছে।’