Kolkata Municipal Corporation : বেআইনি নির্মাণে ব্যবস্থায় অ্যাপ পুর-ইঞ্জিনিয়ারদের
এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
এই সময়: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের ধমক দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বুধবার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র। সেখানে তিনি জানিয়ে দেন, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনও আপস চলবে না। ভিত গাঁথার সময় থেকে নজরদারি চালাতে হবে। নজরদারিতে গাফিলতি নজরে এলে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের প্রতি চূড়ান্ত পদক্ষেপেও দ্বিধা করবে না পুরসভা। ইঞ্জিনিয়ারদের অনেকেরই আশঙ্কা, এই চূড়ান্ত পদক্ষেপে গাফিলতির দায়ে চাকরিও যেতে পারে।সূত্রের খবর, বৈঠকে ১৫ নম্বর বরোর ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিল্ডিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক ইঞ্জিনিয়ারকে দাঁড় করিয়ে ভর্ৎসনা করেন মেয়র। ফিরহাদ তাঁকে বলেন, ‘আপনার ভুল এবং গাফিলতিতে এতগুলো লোকের প্রাণ গেল। হয় আপনি অপদার্থ, নয়তো চোর। আপনার ভুলের জন্যে লোকে আমাকেও চোর বলছে। এটা আমি শুনতে চাই না। আপনি উল্টো দিকের বাড়িতে নোটিস দিলেন, আর যেটা বেআইনি, সেই বাড়িতে নোটিস দিলেন না?’
বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি মেয়রের বার্তা, ‘আমি নিজে বললেও কোনও বেআইনি নির্মাণে অনুমোদন দেবেন না। কোনও কেউকেটার কাছে মাথা নত করবেন না। আমরা যাঁরা নির্বাচিত হয়ে আসি, তাঁরা পাঁচ বছরের জন্যে থাকি। আপনাদের পূর্ণ মেয়াদ চাকরি করতে হবে। তাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করুন।’ মেয়রের নির্দেশ, ‘কোনও নির্মাণ বেআইনি হলে ভেঙে ফেলুন। কারও নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবেন না। কেউ বাধা দিতে এলে তাঁকে কাগজে লিখে দিতে বলুন।’
সূত্রের খবর, বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের একটি পৃথক অ্যাপেও যুক্ত করা হয়। তাঁদের সকাল থেকে রাস্তায় ঘুরে বেআইনি নির্মাণের খোঁজ চালাতে হবে। কোথাও বেআইনি নির্মাণ নজরে এলে তা ওই অ্যাপে নথিভুক্ত করতে হবে। সেই নোটিস বিল্ডিং বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং পুর-কমিশনারের কাছে পৌঁছবে। পুর-কমিশনার বেআইনি নির্মাণের তালিকা নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবেন। বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ব্যবস্থা হবে। তবে বিল্ডিং বিভাগের একাধিক আধিকারিকের বক্তব্য, বেআইনি নির্মাণ কোথায় হচ্ছে, তা তাঁদের অনেক সময়ে জানা থাকলেও বহু জায়গাতেই পরিস্থিতির কারণে হাত ছোঁয়ানোর উপায় থাকে না।
এরই মধ্যে গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় মেয়র যে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন (নিহতদের পরিজনকে পাঁচ এবং আহতদের এক লাখ টাকা করে), তাতে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। তার প্রেক্ষিতে মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।