• ফের বড় পদক্ষেপ কমিশনের, ডিজির পর রাজ্যের ৪ জেলার ডিএম বদল
    এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
  • ভোট ঘোষণার পর একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। রাজ্যের ডিজি পরিবর্তনের পর এবার ৪ জেলার জেলাশাসককে সরাল ইসিআই। সেই জেলাগুলি হল পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর ও বীরভূম। ভোটের আগে কমিশনের এটি অত্যন্ত বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া গুজরাত, পঞ্জাব ও ওড়িশার বিভিন্ন জেলার ডিএম এবং এসপি-ও বদল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    ৪ জেলার ডিএম বদলগত ৩১ জানুয়ারি পূর্ব বর্ধমান থেকে বদলি হয়ে বীরভূমের জেলাশাসক পদে এসেছিলেন পূর্ণেন্দু মাজি। কিন্তু ২ মাস যেতে না যেতেই আবারও এল বদলির নির্দেশ। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে বদলি করা হল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক তনবীর আফজলকে। অন্যদিকে এতদিন ঝাড়গ্রামে ডিএম ছিলেন সুনীল আগরওয়াল। এদিকে এতদিন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। তাঁকেও সরিয়ে দিয়েছে কমিশন।

    অন্যদিকে গুজরাতের দুই পুলিশ সুপারকেও সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ওই দুই পুলিশ সুপার ছোট উদয়পুর এবং আমদাবাদ গ্রামীণ জেলার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও এদিন সরানো হয়েছে পঞ্জাবের পঠানকোট, ফাজিলকা, জলন্ধর গ্রামীণ এবং মালেরকোটলা জেলার চার পুলিশ অধিকারিককেও। এদিকে বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার ঢেনকানলের জেলাশাসক এবং দেওগড় ও কটক গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, অনতিবিলম্বে পঞ্জাবের ভাতিন্ডার এসএসপি এবং অসমের শোনিতপুরের এসপিকে অন্যত্র বদলি করতে হবে। এই দুই পুলিশ আধিকারিকের পরিবারের সঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পারিবারিক কোনও যোগাযোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে কমিশন।

    কয়েকদিন আগেই রাজ্যের ডিজি বদল

    প্রসঙ্গত গত সপ্তাহেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার পরেই সারা দেশে লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। সেক্ষেত্রে বিধি লাগু হওয়ার পরেই রাজ্যের ডিজিপি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই পদে অন্তর্বর্তী ডিজিপি করে আনা হয় বিবেক সহায়কে। তারপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে ডিজি পদে বসায় কমিশন।

    এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে রাজীব কুমারকে ডিজি পদে আনে রাজ্য সরকার। কিন্তু এবার তাঁরে সরিয়ে দিল কমিশন। এমনটা অবশ্য অতীতেও হয়েছে। আগেও নির্বাচনের সময় রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটা সময় সারদা মামলার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে।
  • Link to this news (এই সময়)