Lok Sabha Election 2024: 'পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেসকে পঙ্গু করছে মোদী সরকার', গুরুতর অভিযোগ সোনিয়ার
এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। সম্মুখ-সমরে বিজেপি বনাম কংগ্রেস। এই আবহে বিজেপির দিকে বড়সড় অভিযোগের আঙুল তুললেন কংগ্রেসের রাজ্য সভার সাংসদ তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন সোনিয়া।সোনিয়ার অভিযোগ, 'নির্বাচনে খরচ করার মতো টাকা নেই কংগ্রেসের। জোর করে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।' কংগ্রেস নেত্রীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মোদী সুচারু তত্ত্বাবধানেই কংগ্রেসকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা চছে। সাম্প্রতিক সময়ে শতাব্দীপ্রাচীন দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে যে পদক্ষেপ করেছে আয়কর দফতর। আয়কর দফতর সূত্রের খবর ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা জরিমানা এবং ৩০ কোটির সুদ অর্থাৎ মোট ১৩৫ কোটি কংগ্রেসের কাছে তাদের প্রাপ্য। ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের চারটি মূল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় আয়কর দফতর।
আয়কর দফতরের জরিমানার বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে কংগ্রেসের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে। কিন্তু বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বেঞ্চ সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলে, 'এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের কোনও উপযুক্ত কারণ দেখছে না আদালত।' কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০২৩ সালের মার্চের শেষে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল ১৬২ কোটি টাকা। পাশাপাশি বিজেপির অ্যাকাউন্টে ছিল ৫,৪২৫ কোটি টাকা। কিন্তু বিজেপির থেকে কোনও আয়কর কাটা হয়নি।
জনগণের থেকে যে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস নেত্রীর। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজন মাকেন বলেন, 'আয়কর বিভাগ ২০১৭-১৮ এবং ১৯৯৪-৯৫ সালের মূল্যায়ন বছরগুলির জন্য দুটি পৃথক মামলার জন্য কংগ্রেসকে দু'টি নোটিশ ধরিয়েছে।
সোনিয়ার সংযোজন, 'বিষয়গুলি শুধুমাত্র কংগ্রেসকে প্রভাবিত করেছে তাই নয়। গণতন্ত্রকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টা চলছে। জনসাধারণের কাছ থেকে সংগৃহীত তহবিল ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। জোর করে আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।'
সোনিয়ার মতে, লোকসভা নির্বাচনী প্রচার কাজ চালিয়ে যাওয়াই রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে কংগ্রেসের কাছে। তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে কংগ্রেস। তাঁর কথায়, ' চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও, আমরা আমাদের নির্বাচনী প্রচারের কাজ বজায় রাখার জন্য যথাসাধ্য় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।' কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, 'দলের আর্থিক অবস্থায় এতটাই শোচনীয় যে নির্বাচনে প্রচারে অর্থ ব্যয়ের মতোও সামর্থ্য নেই। নেতা-নেত্রীদের প্রচারে ট্রেন-প্লেনের টিকিট কাটার পর্যন্ত সামর্থ্য নেই দলের।' দলের এই অবস্থার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন খাড়গে।