আবারও বিক্ষোভ - উত্তেজনা উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। এবার বিক্ষোভ জব কার্ড হোল্ডারদের। সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াল সন্দেশখালির শেয়ারা রাধানগর এলাকায়। যদিও অভিযুক্ত সুপারভাইজার ইতিমধ্যেই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, জব কার্ড হোল্ডারদের কারও ২০ দিন, কারও বা ৩০ দিন কাজ হয়েছে। কিন্তু সুপারভাইজার বরুণ হালদার ১০০ দিন কাজের হিসেবে সবার কাছ থেকে সই করে টাকা তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী জব কার্ড হোল্ডারদের যাঁর যত টাকা পাওনা হয়েছে, তা নিতে গেলে সুপারভাইজারকে 'কাটমানি' দিতে হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জব কার্ড হোল্ডাররা সুপারভাইজারের বাড়িতে দেখা করতে যান। কিন্তু সুপারভাইজার জব কার্ড হোল্ডারদের সঙ্গে দেখা না করে গা ঢাকা দেন বলেই অভিযোগ। তারপরেই জব কার্ড হোল্ডাররা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বরুণ হালদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনায় বেশ উত্তেজনা ছড়ায় শেয়ারা রাধানগর এলাকায়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এর আগে বিভিন্ন সময় জব কার্ড সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছে। ভুয়ো জব কার্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। পালটা আবার জব কার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের টাকা কেন্দ্র সরকার দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল তথা রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে জব কার্ডের টাকার দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে জব কার্ড হোল্ডারদেরও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি রাজভবন এলাকাতেও ধর্নায় বসেন অভিষেক। অন্যদিকে রেড রোডে ধর্না মঞ্চে ১০০ দিনের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী সেই টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্য়েই শুরু হয়েছে। এই সবেরই মাঝে নতুন করে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন জব কার্ড হোল্ডাররা।
এদিকে এদিনের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আবারও একবার শিরোনামে চলে আসে সন্দেশখালি। গত জানুয়ারি মাসের প্রথম দিক থেকেই লাগাতার শিরোনামে থেকেছে উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকা। ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলা দিয়ে যে ঘটনা শুরু হয়, তা ধীরে ধীরে পৌঁছায় বিক্ষোভ, মারধর, অগ্নিসংযোগ পর্যন্ত। এলাকার 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু শেখ শাহজাহান হয়, তাঁর ভাই এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে জমি দখল ও দখল করা জমিতে ভেড়ি তৈরির অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীরা। অবশেষে গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহানকে।