শিলিগুড়ি-লাভা পথে রুট ডাইভারশন, পর্যটকদের সময় ও খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা
এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে সারাবছরই কমবেশি পর্যটকদের ভিড় থাকে। ইতিমধ্যেই সান্দাকফুতে তুষারপাতের খবরও এসেছে। এরই মধ্যে বোল্ডার ধসের কারণে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং পৌঁছতে রুট ডাইভারশনের নির্দেশ কালিম্পং জেলা প্রশাসনের। এই বিষয়ে কালিম্পং-এর জেলাশাসকের তরফে জানান হয়েছে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের লিকুভির এলাকায় লাগাতার বোল্ডার ধসের কারণে যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য জারি করা হচ্ছে রুট ডায়ভারশন। এক্ষেত্রে শিলিগুড়ি ও কালিম্পং-এর মধ্যে যানবাহন লাভা গরুবাথান রোড হয়ে যাতায়াত করবে। আবার ২৭ মাইল ও কালিম্পং-এর মধ্যে সামথার হয়ে যাতায়াত করবে যানবাহন।প্রসঙ্গত, বঙ্গবাসীর কাছে পাহাড় বরাবরই প্রিয়। আর শুধু বাংলার মানুষই নন, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের টানে বিভিন্ন রাজ্যে, এমনকী বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক ছুটে আসেন। দার্জিলিঙের পাশাপাশি কার্শিয়াং, কালিম্পং-এর মতো পর্যটনস্থগুলিও ঘুরে দেখেন তাঁরা। এছাড়া লাভা লোলেগাঁও রিশপের পথে যাঁরা যেতে চান, তাঁদেরও ট্যুর প্ল্যানের মধ্যে থাকে কালিম্পং। সেক্ষেত্রে এই ডাইভারশনের কারণে পর্যটকদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Darjeeling Snowfall : তুষার চাদরে ঢাকল দার্জিলিং
বাড়বে খরচ ও সময়এখানেই শেষ নয়, এর ফলে পর্যটকদের সময় এবং খরচও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিলিগুড়ি থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কালিম্পং পৌঁছতে বা একই পথে ফিরতে সময় লাগে কম বেশি ৩ ঘণ্টা। সেক্ষেত্রে লাভা গরুবাথান রোড হয়ে গেলে সেই সময় আরও ঘণ্টা দেড়েক বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বাড়তে পারে খরচও। যেখানে শিলিগুড়ি থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কালিম্পং পৌঁছনর খরচ কমবেশি ৩ হাজার টাকা, বা ওই পথে ফিরতেও একইরকম ভাড়া দিতে হয়, সেখানে ঘুর পথে যেতে গেলে আরও ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা বেশি দিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে পর্যটকদের।
প্রভাব পড়তে পারে ব্যবসা বাণিজ্যেএদিকে সময় ও খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই হয়ত ট্যুরপ্ল্যানে কিছুটা কাটছাঁট করতে হতে পারে পর্যটকদের। একইসঙ্গে ট্যুরে গিয়ে শপিং-এর বাজেটও কিছুটা কমাতে হতে পারে। ফলে সেই দিক থেকে এটি পর্যটকদের কাছে এক দুঃসংবাদ বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে পর্যটকদের বাজেটে কাটছাঁট হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উপরে। কারণ এই সমস্ত এলাকার অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে পর্যটকদের উপরে। ফলে রাস্তায় এই সমস্যা চিন্তার ভাঁজ ফেলছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশের কপালেও।