• দোল শান্তিনিকেতনে কাটাবেন, হঠাত্‍ ট্যুর প্ল্যানে কী করবেন-কোথায় থাকবেন?
    আজ তক | ২১ মার্চ ২০২৪
  • Shantiniketan Basanta Utsav: দোলের বাকি হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন। কোকিলের কুহুতান আর পলাশেরা আবির রঙের অপেক্ষায়, তবেই বসন্তের ষোলোকলা পূর্ণ। বসন্তোৎসব উদযাপনে বাঙালির সবসময় প্রিয় ডেস্টিনেশন শান্তিনিকেতন। কিন্তু বসন্তোৎসবে শান্তিনিকেতনের সমস্ত হোটেল-রুমের দাম থাকে চড়া। বসন্তের আবির রঙে মাততে শান্তিনিকেতনে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকলে আর দেরি করবেন না। কতদিন আগে হোটেল বুকিং করতে হয়? কত ভাড়া? দিনের দিন গেলে কি রুম পাওয়া সম্ভব? রইল সব তথ্য।

    বসন্তোৎসবে শান্তিনিকেতন গেলে হোটেল বুকিং করবেন কবে?
    শান্তিনিকেতনের এক হোটেল-গেস্টহাউসের ম্যানেজার সৈকত শোভন মণ্ডল জানান, বসন্তোৎসবের জন্য ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকে হোটেল বুকিং নেওয়া শুরু হয়। বেশিরভাগ ভাল হোটেলগুলি এই সময়ে বুকিং হয়ে যায়। হোলির একমাস আগেই ৮০ শতাংশ হোটেল বুকিং শেষ হয়ে যায়। 

    দোলে রুমের ভাড়া কত থাকে?
    এই সময়  রুমের ভাড়া অন্য সময়ের থেকে দ্বিগুণ হয়ে যায়। সব হোটেল অন্তত ২ দিনের বুকিং নেয়। দু' জন থাকার রুম ২০০০-২,৫০০ টাকা (নন-এসি) সঙ্গে ১২ শতাংশ জিএসটি চার্জ। এসি হোটেল ৩,০০০ টাকা থেকে শুরু সঙ্গে ১২ শতাংশ জিএসটি চার্জ। চারজনের থাকার রুম ৩,৫০০ (নন-এসি) ও ১২ শতাংশ জিএসটি এবং ৪,০০০ (এসি) টাকা ও ১২ শতাংশ জিএসটি। খাওয়ার খরচ অন্য সময়ের মতো একই থাকে। তবে বাইরে যেকোনও খাবার হোটেলে দাম ৩০-৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এর থেকে কমেও রুম পাবেন। এই সময়ে হোটেল বুক করতে চাইলে হাতে গোনা কিছু হোটেলই পাবেন।

    বুকিং পদ্ধতি
    হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে হোটেল ভাড়ার ৫০ শতাংশ টাকা বুকিংয়ের সময় অগ্রিম জমা করতে হয়। কিছু হোটেলে পুরো ভাড়াটাই অগ্রিম দিতে হয়। বুকিং ক্যান্সেল করলে এই সময়ে তা ফেরৎযোগ্য নয়। হোটেল কর্তৃপক্ষকে আধার কার্ডের ছবি পাঠিয়ে অগ্রিম অর্থ বাবদ দেওয়া যায়। এছাড়া, অনলাইনেও হোটেল বুকিং করার সুবিধা রয়েছে।

    হোলির দিন রুম পাওয়া সম্ভব কি?
    হোলির দিন বা একদিন আগে সোনাঝুরি বা প্রান্তিকের আশেপাশে খুব কমই খালি রুম পাওয়া সম্ভব। তাই শেষ মুহূর্তে শান্তিনিকেতন আসার প্ল্যান করলে দিনের দিন ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করুন। সেই রাতে রুম খালি পাওয়া মুশকিল। কোনও হোটেলে বুকিং ক্যান্সেল হলে সে ক্ষেত্রে পেতে পারেন।

    টোটো ভাড়া করার জন্য হোটেলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এছাড়া, বাইরে থেকে টোটো নিলে ৫০০ টাকা দিয়ে একদিনের জন্য রিসার্ভ করা যাবে। এইসময়ে টোটো ভাড়াও থাকে দ্বিগুণ।

    প্রসঙ্গত, বিশ্ববরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যায়ল ও শান্তিনিকেতন বিশ্বজুড়ে তার অনন্য সাংস্কৃতিক এবং শৈল্পিক ঐতিহ্যের জন্য খ্যাত। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তোৎসবে এবারেও পর্যটকদের অনুমতি মিলবে কিনা তা অনিশ্চিত। বেশ কয়েক বছর ধরেই তা বন্ধ রেখেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তা সত্ত্বেও, দোলে শান্তিনিকেতনে পর্যটকের ভিড়ে ভাঁটা পড়েনি। তবে সোনাঝুরি, সৃজনীতে বাউল গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এখানে জমিয়ে উপভোগ করতে পারেন বসন্তোৎসব।
  • Link to this news (আজ তক)