রচনাকে রাজনীতি শেখাবেন লকেট' মাছ রান্নার পর হরিনাম-শিশুদের ভোগ পরিবেশন বিজেপি প্রার্থীর!
২৪ ঘন্টা | ২১ মার্চ ২০২৪
বিধান সরকার: মাছ রান্নার পর এবার জনসংযোগে বেরিয়ে হরিনাম করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। আজ বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুরের ঝেরো মালপাড়ার হরিসভায় যোগ দেন লকেট। সেখানেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে হরিনাম করেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। এরপর বলাগড়ের চরকৃষ্ণবাটিতে সোলেমান সাধুর আশ্রমে গিয়ে পুজো দেন তিনি। শিশুদের ভোগও পরিবেশন করেন।লকেট বলেন, "আমি ঘুরছি। প্রচুর মানুষের আশীর্বাদ পাচ্ছি। বিশেষ করে মহিলাদের। তাঁরা রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন। সন্দেশখালির ঘটনা তাদের নাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও উন্নয়ন হয়নি। একমাত্র ভরসা নরেন্দ্র মোদী। দুর্নীতির ইস্যু পুরো বাংলাকে নাড়িয়ে দিয়েছে।তাই মানুষ বিকল্প চাইছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের নেতারা জেলে রয়েছে। বলাগড় দুর্নীতির হাবে পরিণত হয়েছে।" প্রসঙ্গত, পঞ্চম দিনের প্রচার কর্মসূচিতে এদিন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়েরও দিনভর বলাগড়ে কর্মসূচি রয়েছে। বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবনচন্দ্র জিউ মঠে পুজো দেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বলেন, "হুগলির মানুষ যদি আমাকে ভোট দিয়ে জেতান তাহলে সংসদে প্রথম কথাই বলব বলাগড়ের ভাঙন নিয়ে।"যার জবাবে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "উনি একদমই নতুন আছেন। কিছু জানেন না। যা শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাই বলছেন। গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল। সেই টাকা কোথায় গেল। কেন্দ্র তো সরাসরি খরচা করতে পারে না। সেই টাকাগুলো কোথায় গেল? তারপর তো কাজের কথা। আমি ১৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার কাজ করেছি। শেষ ১৩ বছরে যখন তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন, তখন কী কাজ করেছেন, তার হিসাব নিয়ে আসুন। আমি তো আমার হিসাব দিয়েছি, যখনই চেয়েছে। এবার আমি হিসাব চাইছি।"রচনাকে কটাক্ষ করে লকেট আরও বলেন, "উনি এগুলো জানেন না। রাজনীতিতে আমি লাফিয়ে লাফিয়ে চলে এলাম! তা তো হয় না। কী হয়েছে, সেটা তো পড়তে হবে, স্টাডি করতে হবে। এসব তৃণমূল প্রার্থী জানবে কী করে! সকালবেলা হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে রাজনীতিতে চলে এলাম! কী করে জানবে! জানতে জানতে তো ভোট-ই চলে যাবে। উনি আমার থেকে ৫ বছরের হিসাব চেয়েছেন, আমি দিয়ে দিয়েছি। এবার উনি ১৩ বছরের হিসাব দিন। উনি বুঝতে পারবেন যে জায়গাটা কতটা শক্ত। এটা কোনও রিয়ালিটি শো না। এখানে মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে হয়। মানুষের সঙ্গে সংস্পর্শে থাকতে হয়।" তিনি তাঁর অভিনয় জগতের সতীর্থকে কি এই বিষয়ে পরামর্শ দেবেন? এই প্রশ্নের জবাবে লকেট বলেন, 'সেটা ভোটের পরে।' উল্লেখ্য, এর আগে রচনার সঙ্গে টক্কর দিতে ভোটপ্রচারে নেমে মাছ রান্না করেন লকেট। পোলবা রাজহাট পঞ্চায়েত এলাকায় ওলাবিবি তলায় চলছিল রান্না পুজো উৎসব। ভোটপ্রচারে বেরিয়ে সেখানেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি রান্না করতে বসে পড়েন। তরকারি রান্নার পাশাপাশি মাছও ভাজতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীকে।