সোমা মাইতি: 'মনোমালিন্য কিছুই ছিল না'। বহরমপুরে দলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচারে সামিল হলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর! বললেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমাদের নেতা, তিনি যা বলবেন, সেটাই শেষকথা। আমি আমার বিধানসভায় ৪৩ হাজার ৩০০ মার্জিন জিতেছি. সেটাকে পার করার চেষ্টা করব'।ঘটনাটি ঠিক কী? ১০ দিন পার। ব্রিগেডের মঞ্চে নাম ঘোষণার পর এবার বহরমপুরে প্রচার শুরু করলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী, প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। বললেন, 'মমতাদিদি আমাকে আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য এখানে পাঠিয়েছেন। যখন খেলতাম তখন মাঠের মধ্যে ভালোবাসা পেতাম, আজ আপনাদের মধ্যে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি চাই এই মহব্বত সব সময় থাকে'।
বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থীর আরও বক্তব্য, 'গুজরাট থেকে আমি এসেছি। গুজরাট আমার জন্মভূমি আর এটা আমার কর্সভূমি। এখানে আমি অনেক কাজ করেছি, অনেক খেলেছি।আগামী দিনেও অনেক কাজ করতে হবে'। আর অধীর চৌধুরী? পাঠান বলেন, 'তিনি ৫ বারের সাংসদ। এবার বদলাতে চলেছে, পরিবর্তন আসছে। পরিববর্তন ভালোর জন্যই হয়'। এদিকে স্রেফ ক্ষোভ প্রকাশ নয়, বহরমপুরে প্রার্থী হিসেবে ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষণার পর, টেবিল প্রতীকে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বলেছিলেন, 'জিতব কি জিতব না, সেটা তো গ্যারান্টি দিয়ে বলার ব্য়াপার নয়। আমি এটুকু বলব, আমি সম্মানজনক ভোট পাব। সেই ভোট গণনার দিকে আমি উৎসর্গ করব মুর্শিদাবাদের সাধারণ মানুষের পক্ষে। তাঁদেরকে আবার সেই সম্মান ফেরত দেব'।এদিন ইউসুফ পাঠানের প্রচার দেখা গেল সেই হুমায়ুন কবীরকেও। কেন? বললেন, মনোমালিন্য কিছুই ছিল না। ১০ তারিখে ঘোষণা হয়েছিল। ১১ তারিখ আমি বলেছিলাম, রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্তটা নিয়েছে, আমাদের যদি ডেকে একটু বলে দিতেন...আমাদের যদি আগে থেকে বলতেন, তাহলে মনের দিক থেকে খুশি থাকতাম। ১৯ তারিখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকেছিলেন, সেখানে গিয়েছিলাম। খুব সুন্দর আলোচনা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমাদের নেতা, তিনি যা বলবেন, সেটাই শেষকথা। আমি আমার বিধানসভায় ৪৩ হাজার ৩০০ মার্জিন জিতেছি. সেটাকে পার করার চেষ্টা করব'।