পঞ্চম দিনেই তাল কাটল প্রচারের, ৩ ঘণ্টা দেরিতে এসে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে রচনা!
২৪ ঘন্টা | ২১ মার্চ ২০২৪
বিধান সরকার: জিতে সাংসদ হলে সংসদে প্রথম কথা যেটা বলব, সেটা হল ভাঙনের কথা। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বলাগড় ভাঙন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চম দিনে প্রচার আসেন বলাগড়ে। তবে আসার আগেই প্রচারের তাল কাটে। সকাল ৯টায় প্রার্থী আসার সময় দিলেও এসে পৌঁছন বেলা ১২টার পর। বিভিন্ন গ্রাম থেকে মহিলারা বাড়ির কাজ ফেলে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন। অপেক্ষা করতে করতে স্থানীয় নেতাদের দু-চার কথা শুনিয়েও দেন তাঁরা। বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে ঘিরে ক্ষোভও দেখাতে দেখা যায় কর্মীদের। বলাগড় নেতৃত্বের একাংশকে না জানিয়ে প্রার্থীর প্রচার কর্মসূচি তৈরি করা এবং হঠাৎ করে তাঁর পরিবর্তন করা নিয়েও ক্ষোভ দেখান কর্মীরা।বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবনচন্দ্র জিউ মঠে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ রয়েছে। বৃন্দাবন জিউয়ের রথ প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন। মঠে রাধাকৃষ্ণ, শ্রীরামের বিগ্রহ আছে। সারা বছর ভক্তদের সমাগম হয়। রথযাত্রা আর দোলের সময় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। সেই মঠে এদিন পুজো দেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দেশ কালী মন্দিরেও পুজো দেন তিনি। জনসংযোগ করেন গুপ্তিপাড়াতেও। আজ গোটা দিন বলাগড় বিধানসভা এলাকাতেই প্রচার কর্মসূচি রয়েছে হুগলি লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী রচনার। গুপ্তিপাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাধাগাছিতে একটি লজে কর্মিসভা রয়েছে তাঁর। দুপুরে সোমড়া ১ পঞ্চায়েতের বাঁকিপুরে একতা ভোজে যোগ দেবেন। সেখানেই বিকালে কর্মিসভার পর রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।বৃন্দাবন মঠে পুজো দিয়ে রচনা বলেন, "হুগলির মানুষ যদি আমাকে ভোট দিয়ে জেতান তাহলে সংসদে প্রথম কথাই বলব বলাগড়ের ভাঙন নিয়ে।" প্রসঙ্গত, বলাগড়ের গঙ্গার ভাঙন দীর্ঘদিনের সমস্যা। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সমস্যা সম্বন্ধে ওয়াকিবহল। তিনি বলেন, "একটা বড় কাজ কেন্দ্র সরকারের সাহায্য ছাড়া হবে না। দিদি একা কত লড়াই করবে। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য তো দিদি লড়ছে। দিদির পক্ষে যতটা সম্ভব ততটা করেছে। তারপরও তো টাকার দরকার। কেন্দ্রীয় সরকার যদি তাকিয়ে না দেখে, তাহলে কী করে সম্ভব। পাঁচ বছরে এখানকার সাংসদকে দেখা যেত না। এখন প্রচারের সময় দেখা যাচ্ছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।" কটাক্ষ করেন রচনা।