অধীরের ‘বাউন্সার’ থেকে ?বহিরাগত? তরজা, একান্ত সাক্ষাৎকারে চালিয়ে খেললেন ইউসুফ
প্রতিদিন | ২১ মার্চ ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সবচেয়ে বড় চমকের নাম ইউসুফ পাঠান। ক্রিকেট থেকে সদ্য রাজনীতির ময়দানে পা রাখা ইউসুফকে (Yusuf Pathan) ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে বহু কৌতূহল। সদ্যই শহরে পা রেখেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। উঠেছেন এক পাঁচতারা হোটেলে। শীঘ্রই প্রচার শুরু করবেন। ব্যস্ততা তুঙ্গে। তাঁর সাক্ষাৎকার পাওয়াটা সত্যিই দুরূহ ব্যাপার। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে মিনিট পাঁচেকের সময় পাওয়া গেল। সিনিয়র পাঠানের রাজনীতিতে আগমন এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জের গল্প শুনলেন মণিশংকর চৌধুরী।
প্রশ্ন: ইউসুফ প্রথমেই আপনাকে শুভেচ্ছা। আপনার নতুন ইনিংস শুরু হচ্ছে রাজনীতিতে। ইউসুফ যখন বিধ্বংসী ব্যাট করেন, ম্যাচ পকেটে চলে আসে। হঠাৎ ক্রিকেট মাঠ ছেড়ে রাজনীতিতে কেন?ইউসুফ: প্রথমেই শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। আপনি বললেন না হঠাৎ কেন এলাম? আমি বলব, হঠাৎ যখন কিছু হয়, ভালোর জন্যই হয়। আমার মনে হয়েছে এটা মানুষের সেবা করার সুবর্ণ সুযোগ। আমি এবার গরিবদের আওয়াজ হয়ে উঠতে পারি। তাই এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই।
প্রশ্ন: রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব যখন পেলেন তখন কারও পরামর্শ নিয়েছেন? কোনও সংশয় ছিল?ইউসুফ: প্রস্তাবটা পাওয়ার পর তিন দিন সময় নিয়েছিলাম। বেশি সময় পাইনি ঠিকই কিন্তু ওই তিন দিন খুব ভালো করে ভেবেছি। অনেকবার মনে হয়েছে না বলে দিই। আমি তো রাজনীতির লোক নই। কিন্তু একটা সময়ের পর গিয়ে মনে হল কেনই বা রাজনীতিতে যাব না! আব্বা সবসময় বলতেন, যতটা সম্ভব মানুষের সেবা করো। নিঃস্বার্থে মানুষের পাশে থাকো। তাই ভাবলাম, মানুষের জন্য যদি আরও কাজের সুযোগ পাই, তাহলে কেন সেটা নেব না।
প্রশ্ন: মমতা দিদির থেকে অনুপ্রেরণা পান? ইউসুফ: ২০১১ সালে মমতা (Mamata Banerjee) দিদি যখন ক্ষমতায় এলেন, তার আগে থেকেই আমি মমতা দিদিকে ফলো করি। যেভাবে মানুষ দিদিকে ভালোবাসেন। দিদি যেভাবে মানুষকে সাহায্য করেন, আমার সেটা খুব ভালো লাগে। দিদি যেভাবে সহজ-সরল জীবন যাপন করেন, সেটাও অনুপ্রেরণা দেয়। প্রশ্ন: জিতলে দিদিকে রসগোল্লা খাওয়াবেন তো?ইউসুফ: আরে দিদিই আমাকে বলেছেন জিতে গেলে কলকাতার সব মিষ্টি আমাকে খাওয়াবেন। প্রশ্ন: আচ্ছা জাতীয় স্তরে বিজেপির প্রধান বিরোধী দল তো কংগ্রেস (Congress)। পুরো দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসই লড়ছে। তাহলে আপনি কংগ্রেসকে না বেছে তৃণমূলকে বাছলেন কেন?ইউসুফ: দেখুন কলকাতা আমার কর্মভূমি। এখানে আমি ৭ বছর খেলেছি। তার পর এই অফারটা পেলাম। এখানকার মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছে। ওদের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। এই অফারটা যখন পেলাম, ভাবলাম সুযোগটা কাজে লাগাই। তাছাড়া সত্যি বলতে ভাবার বেশি সময় পাইনি। এখানকার মানুষ খেলাধুলোকে খুব ভালোবাসে। পজিটিভ এনার্জি নিয়ে আসে। আমিও খেলার জন্য তৈরি।
প্রশ্ন: বহরমপুরে কিন্তু অধীরের বাউন্সার আসবে। খেলতে পারবেন তো?ইউসুফ: আমিও হেলমেট পরে নিয়েছি। ক্রিকেটে পুল শটও খেলতে শিখেছি।
প্রশ্ন: বিরোধীরা বলছে আপনি বাংলার নন, বহিরাগত। কী বলবেন?
ইউসুফ: কে বলল আমি বহিরাগত? বাংলা আমার দ্বিতীয় ঘর। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার সময়ে এই বাংলাতেই থাকতাম। দীর্ঘদিন পরে আবার কলকাতায় ফিরেছি। আমি এখানেই থাকব। জয় বাংলা।?
প্রশ্ন: শেষ প্রশ্ন, সিএএ (CAA) নিয়ে দেশজুড়ে প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে। আপনি রাজনীতিতে এসেছেন। তাহলে রাজনীতিবিদ ইউসুফ পাঠান সিএএ নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেবেন? ইউসুফ: দেখুন আপনি নিজেই বললেন, আমি রাজনীতিতে নতুন। আমার এখনও অনেকটা শেখা বাকি-অনেক কিছু বোঝা বাকি। আগে শিখব, তার আগে এটা নিয়ে কিছু বলাটা ঠিক হবে না।