Amit Shah: চূড়ান্ত ব্যস্ততায় কী ভাবে পরিবারকে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর? উত্তর শুনে লাজুক হাসি অমিত শাহের স্ত্রীর
এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
তিনি মোদীর সেনাপতি। বিজেপির চাণক্য। স্বভাবতই প্রতিদিনই ম্যারাথন কর্মসূচি। দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গুরুভার ন্য়াস্ত তাঁর কাঁধে। কার কথা হচ্ছে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন? কথা হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে। দেশের এমন এক গুরুত্বপূর্ণ পদে যেখানে আসীন রয়েছেন সেখানে প্রতিটা মুহূর্ত-প্রতিটা মিনিট তাঁর কাছে মূল্যবান। দম ফেলবার ফুরসত নেই বললেই চলে। লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজেছে। আর ব্য়স্ততা-কর্মসূচিও দ্বিগুণ হয়েছে। এত কিছুর পরে পরিবারকে সময় দিতে পারেন শাহ? আলাপচারিতায় শাহের মুখে এল উঠে এল সেই প্রসঙ্গ।সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮-এর বিশেষ অনুষ্ঠান রাইজিং ভারত সামিট ২০২৪-এ অংশ নিয়েছিলেন শাহ। রাজনীতির পাশাপাশি শাহের কথায় উঠে আসে পরিবারের প্রসঙ্গও। শাহের গলায় এক প্রশ্নের উত্তর শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী।
রাইজিং ইন্ডিয়া সামিটের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্য কীভাবে পরিবারকে সময় দেন তিনি? উত্তর শাহ জানান, পরিবারকে সময় দেওয়াই হয় না। সারা দিনের ব্যস্ততার মাঝে পরিবারের জন্য আলাদা করে সময় বের করা হয়ে ওঠে না। তবে বিষয়টা সামাল দেন তাঁর স্ত্রী সোনাল শাহ।
অমিত শাহ বলেন, 'দেশের কাজের মধ্যে পরিবারের জন্য সময় বের করতে পারি না। তবে পরিবারের ভিতরে সব কিছু সামাল দেন আমার স্ত্রী। এই ভাবেই আমাদের পরিবারে ভারসাম্য বজায় রয়েছে।' শাহের এই উত্তর শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। ঠোঁটের কোণে ফুটে ওঠে মিষ্টি হাসি।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কী বললেন অমিত শাহ?
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমঙ্গে কেমন ফলাফল করবে বিজেপি, শাহের মুখে উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গও। তাঁর মতে, এবার বঙ্গে বিজেপির ফল হবে সারপ্রাইজিং। ২৫টিরও বেশি আসনে জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন শাহ।
পাশাপাশি সিএএ ইস্যু নিয়ে কথাও বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্প্রতি দেশে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন- ২০১৯ (CAA)। নির্বাচনী আবহে এই নিয়ে রাজনীতিও শুরু হয়েছে। কারণ এই আইনে আলাদ করে মুসলিমদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। অ-মুসলিমদের কথা বলা হয়েছে শুধুমাত্র। এই সবের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, দেশের মুসলমানদের এই নিয়ে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। তিনি বলেছিলেন যে সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। বিরোধীদের ছড়ানো ভুল ধারণার শিকার হবেন না বলে পরামর্শ তাঁর।