Electoral Bonds Case : সুপ্রিম ভর্ৎসনায় কাজ! কমিশনে ইউনিক নম্বর-সহ বন্ডের সব তথ্য জমা SBI-এর
এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
আগেই ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য জমা দিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সেই তথ্য প্রকাশও করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাতে ইউনিক নম্বর না থাকায় প্রশ্ন ওঠে। এবার সেই ইউনিক নম্বর সহ ইলেক্টোরাল বন্ডের সব তথ্য দিল স্টেট ব্যাঙ্ক। সেই কথা এফিডেভিটের মাধ্যমে জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকেও।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নির্বাচনী বন্ডগুলির সম্পূর্ণ বিশদ বিবরণ সহ জমা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। এরই সঙ্গেই জমা দেওয়া হয়েছে বন্ডের 'অনন্য সংখ্যাসূচক' বিবরণও। অনন্য বন্ড নম্বরগুলি ক্রেতা এবং প্রাপক রাজনৈতিক দলের মধ্যে যোগসূত্র প্রকাশ করবে।
আগেই এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরে যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গেই ২১ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড-এর সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত বিবরণ ‘সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ’ করতে বলেছিল আদালত।
জমা সব তথ্য
বৃহস্পতিবার, একটি এফিডেবিট জমা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তাদের বক্তব্য জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। তারা জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে ইলেক্ট্রোরাল বন্ড সংক্রান্ত সব তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে। এসবিআই জানিয়েছে যে তারা রাজনৈতিক দল এবং ক্রেতাদের KYC বিশদ আপডেট করেনি। কারণ এটি সংশ্লিষ্ট দলের নিরাপত্তার সাথে আপস করতে পারে।
তবে হলফনামা দিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে যে তথ্য দিয়েছে সেগুলির মধ্যে আছে। তাকে নগদ করণের তারিখ, রাজনৈতিক দলের নাম, বন্ড নম্বর, অ্যাকাউন্ট নম্বরের শেষ চার অঙ্ক এবং পেমেন্ট শাখার কোড। এই সঙ্গে কত টাকার বন্ড, কবে সেটি কেনা হয়, তার নম্বর সহ অন্য তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
কী জানিয়েছিল আদালত?
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট এই বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে। সেই সঙ্গে এই বন্ড বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গেই ১৩ মার্চের মধ্যে কে কত টাকার বন্ড কিনেছে এবং কোন দল সেই টাকা পেয়েছে তা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
যদিও এই তথ্য পেশ করার জন্য আরও সময় চেয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক। তারা ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিল। যদিও এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে তারা। সুপ্রিম কোর্ট এই তথ্য জমা দেওয়ার জন্য সময় বৃদ্ধি করা হবে না বলেও জানিয়ে দেয়।