Election Commission : নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন স্থগিত সম্ভব নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট
এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
ঘোষণা করা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দিন। আর এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করা নিয়ে। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আইন স্থগিত করার দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন একাধিক ব্যক্তি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আইন স্থগিত করতে অস্বীকার করার কথা জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন এটা করা সম্ভব নয় তাও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, এই ওই আইন স্থগিত করতে গেলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।সমস্যা কোথায়?
ফেব্রুয়ারি মাসেই অবসর গ্রহণ করেন অনুপ চন্দ্র পান্ডে। তারপরেই হঠাৎ করে পদত্যাগ করেন অরুণ গোয়েল। এর পরে তাঁদের জায়গায় নিয়োগ করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধুকে। উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত নতুন আইন নিয়ে আসা হয়।
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে নতুন এই আইনের অনুমোদন করে সংসদের দুটি কক্ষই। তাতে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ, বেতন এবং অপসারণের পদ্ধতিতে মূল পরিবর্তনগুলি প্রবর্তন করা হয়। নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। আইনের ৭ নম্বর ধারা অনুসারে, নির্বাচন কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলের নেতা বা লোকসভার বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা থাকবেন।
কিন্তু এই নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওই দুজনের নিয়োগে কমিশনের বর্তমান আইনের সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই।
পিটিশনের শুনানি
আইনের সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করেন কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এবং অন্যরা। ওই প্যানেল থেকে কেন ভারতের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাই ওই আইনের স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।
তাঁর দাবি, যেটা করা হয়েছে সেটা আপাতদৃষ্টিতে বিচার বিভাগীয় হস্তক্ষেপ এবং যথাযথ অধ্যবসায় এড়ানোর জন্য সাজানো হয়েছিল। যদিও শুনানিতে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করা নিয়ে প্রশান্ত ভূষণকে প্রশ্ন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তার পরেই এদিন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানিয়ে দেন, এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন, ২০২৩ স্থগিত রাখা সম্ভব নয়।
সেটা করা হলে তা বিশৃঙ্খলা এবং অনিশ্চয়তার দিকে পরিচালিত করবে বলেও জানিয়েছে আদালত। যাদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।