হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রচারের পঞ্চম দিনে হুগলির বলাগড়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ার জনসংযোগ করেন তিনি।বলাগড়ে বৃন্দাবনচন্দ্র জিউ মঠে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ রয়েছে। বৃন্দাবন জিউয়ের রথ প্রায় তিনশ বছরের প্রাচীন। মঠে রাধাকৃষ্ণ, শ্রীরামের বিগ্রহও রয়েছে। সারা বছর ভক্তদের সমাগম হয়। রথযাত্রা আর দোলের সময় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় ভক্তদের। সেই মঠে এদিন পুজো দেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় একটি কালী মন্দিরেও পুজো দেন তিনি। পাশাপাশি জনসংযোগ করেন গুপ্তিপাড়া এলাকায়।
বৃন্দাবন মঠে পুজো দিয়ে রচনা বলেন, হুগলির মানুষ যদি আমাকে ভোট দিয়ে জেতান তাহলে সংসদে প্রথম কথাই বলব বলাগড়ের ভাঙন নিয়ে। বলাগড়ের গঙ্গার ভাঙন দীর্ঘদিনের সমস্যা।' তিনি আরও বলেন, 'একটা বড় কাজ কেন্দ্র সরকারের সাহায্য ছাড়া হবে না। দিদি একা কত লড়াই করবেন? পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য তো দিদি লড়ছেন। দিদির পক্ষে যতটা সম্ভব ততটা করেছেন। তারপরও তো টাকার দরকার। কেন্দ্রীয় সরকার যদি তাকিয়ে না দেখে তাহলে কী করে সম্ভব।' বলাগড়ের ভাঙনের সমস্যা নিয়ে তিনি যে ওয়াকিবহাল, এই কথার মধ্যে দিয়ে রচনা সেটাই বোঝাতে চাইলেন বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। একইসঙ্গে প্রতিপক্ষ লকেটকে নিশানা করে রচনা বলেন, পাঁচ বছরে এখানকার সাংসদকে দেখা যেত না, এখন তাঁকে ফের ভোটের সময় দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে এদিন বলাগড়ে জনসংযোগে দেখা গেল বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও। জনসংযোগে বেরিয়ে হরিনাম সংকীর্তনেও অংশ নেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী। এদিন বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুরের ঝেরো মালপাড়ায় হরিসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে হরিনাম করেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। এরপর বলাগড়ের চরকৃষ্ণবাটিতে সোলেমান সাধুর আশ্রমে গিয়েও পুজো দেন। পাশাপাশি শিশুদের ভোগ পরিবেশন করেন।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার ফের তাঁকেই টিকিট দিয়েছে বিজেপি। যদিও লকেটকে এলাকায় দেখা যায় না বলে বারেবারেই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এবার লকেটের বিরুদ্ধে 'দিদি নম্বর ১' রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থীও করা হয়েছে। দুই অভিনেত্রী ইতিমধ্যেই প্রচারের ময়দানে নেমেও পড়েছেন। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত লাইমলাইটে কে থাকেন?