বৃহস্পতিবার বহরমপুরে প্রথমবার প্রচারে নামেন ইউসুফ পাঠান। শান্তস্বরে এই তারকা ক্রিকেটার বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বহরমপুরে ‘থাকতে এসেছেন’। এদিন অধীর চৌধুরীকে খোলা চ্যালেঞ্জ দিতে শোনা গেল ইউসুফ পাঠানকে। তিনি বলেন, 'খেলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে মানুষের কাছাকাছি আসার সুযোগ দিয়েছেন। ভালো কিছুর জন্য বদলের প্রয়োজন রয়েছে।' বহিরাগত তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় না আমি বহিরাগত। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের বাসিন্দা। কিন্তু, তিনি লড়াই করেন বারাণসী থেকে। বহরমপুর আমার বাড়ি। আমি এখানে থাকতে এসেছি। এখানকার লোকজনের জন্য অনেক কিছু করতে হবে। এখানে কোনও বড় স্পোর্টস সেন্টার নেই। আমি নির্বাচিত হলে সেই দিকে জোর দিব।'বাংলা ভাষা শিখবেন বলেও জানান ইউসুফ। তাঁর কথায়, ‘এখানে মানুষের সঙ্গে হৃদয় মিলছে। তাই আলাদা করে ভাষা কোনও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না বলেই মনে করি।’ মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত সিল্ক শিল্প সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা যায় তাঁকে। অধীর চৌধুরীকে কার্যত খোলা চ্যালেঞ্জ দিতে শোনা গেল তাঁকে।
এদিকে পালটা সুর চড়িয়েছেন অধীর চৌধুরীও। ইউসুফ পাঠানের নাম না করে তাঁকে পরোক্ষভাবে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, 'তৃণমূলের লক্ষ্য অধীর চৌধুরীকে হারানো। যারা টাকার বিনিময়ে খেলা করে তারা এখানেও টাকার বিনিময়ে খেলবে। ওরা মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করছে। আমি খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব নিয়ে মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দিতে চাই না। আমি এই জেলার মানুষ। মানুষ আমাকে চেনে। আমি আমার সীমিত সামর্থ্যের মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।'
উল্লেখ্য, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় অন্যতম বড় চমক ছিল ইউসুফ পাঠান। দীর্ঘ সময় ধরে বহরমপুর কেন্দ্রের সাংসদ রয়েছেন অধীর চৌধুরী। বঙ্গ রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, রাজ্যে কংগ্রেসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি বহরমপুর। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারতের প্রাক্তন এই ক্রিকেটারকে প্রার্থী করা তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
বহরমপুরে সংখ্যালঘু ভোট একটি অন্যতম বড় ফ্যাক্টর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করার পর থেকেই বহিরাগত তত্ত্ব সামনে রেখে সরব হয়েছে কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিজেপিও। এবার প্রচারের প্রথম দিনেই ইউসুফ ঘোষণা করলেন, তিনি বহরমপুরে থাকতে এসেছেন। বহিরাগত তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।