দমদমে লোকাল ট্রেনের সমস্যা মিটবে কবে? জানিয়ে দিল রেল
এই সময় | ২১ মার্চ ২০২৪
শিয়ালদা ডিভিশনের দমদম জংশনে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ সমাপ্ত হয়েছে ইতিমধ্য়েই। তারপর থেকে নিময় অনুযায়ী ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের ভোগান্তি কি কমেছে? যাত্রীদের একটা বড় অংশর কাছ থেকে কিন্তু অন্যরকম কথাই শোনা যাচ্ছে। বহু যাত্রীরই অভিযোগ শিয়ালদা মেন লাইন হোক বা বনগাঁ শাখা, দুর্ভোগ এখনও কাটেনি। এক্ষেত্রে সমস্যা মূলত দমদম জংশন স্টেশনকে ঘিরে। যাত্রীদের অভিযোগ, বহু ট্রেনই যাতায়াতের পথে দমদম জংশন স্টেশনের আগে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। কখনও যদি ট্রেন একেবারে স্টেশনে ঢুকেও যায়, তাহলেও প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকছে দীর্ঘক্ষণ। ফলে যাতায়াতের পথে অনেকটাই বেশি সময় লাগছে যাত্রীদের। দেরি হচ্ছে গন্তব্যে পৌঁছতে। এক্ষেত্রে যাত্রীদের প্রশ্ন, দীর্ঘ ৫২ ঘণ্টা ধরে কাজ চলার পরেও এখনও কেন কাটল না সমস্যা?এই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুলল পূর্ব রেল। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, 'একটু দেরি হবে, ওটা সেট করতে আমাদের সময় লাগবে। নতুন গাড়িতে যখন আমরা চাপি, তখন ব্রেকগুলো অপরেট করতে দেরি লাগে, ঠিক তেমনই, নতুন সিস্টেমে কাজ করতে আমাদের একটু সময় লাগছে। আশা করতে পারি, এই সপ্তাহটুকুই, খুব শীঘ্রই হয়ত মসৃণভাবে চালাতে পারব। পুরনো পদ্ধতি থেকে নতুন পদ্ধতিতে আসা, আগে ম্যানুয়াল হচ্ছিল, এখন পুরোটাই কম্পিউটারাইজড হয়ে গিয়েছে।'
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শেষের দিকে একটানা ৫২ ঘণ্টা ধরে দমদম জংশন স্টেশনের নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলে। যার ফলে বাতিল করা হয় প্রচুর ট্রেন। গত শনি ও রবিবার ব্যাপক ভোগান্তির মধ্য পড়তে হয় যাত্রীদের। ওই ২ দিন আবার সরকারি চাকরির পরীক্ষাও ছিল। ফলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথেও দুর্ভোগের শিকার হন অনেক পরীক্ষার্থী। এমনকী দেরি করে কেন্দ্রে পৌঁছনোর জেরে অনেকে পরীক্ষা দিতে পারেননি বলেও অভিযোগ। অন্যদিতে এই সুযোগে অনেক জায়গায় সড়কপথে যানবাহনে বাড়তি ভাড়া চাওয়া হয় বলেও অভিযোগ। যার জেরে গন্তব্যে পৌঁছতে বাড়তি গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় যাত্রীদের।
যদিও এর মাঝে একটি সুখবরও দেয় পূর্ব রেল। নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ হয়ে হয়ে যাওয়ার পর শিয়ালদা ডিভিশনে বাড়তে পারে ট্রেনের সংখ্যা। আগে যেখানে এই ডিভিশনে ২৯৬টি ট্রেন চলত, সেখানে এবর ৩৪৪টি ট্রেন চলাচলের ক্যাপাসিটি তৈরি হয়েছে। আর এখানেই শেষ নয়, নতুন যে ট্রেনগুলি বাড়বে সেগুলিকে ১২ বগি করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানান হয় পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে। কিন্তু এতকিছুর মাঝেও ট্রেন দেরিতে চলার অভিযোগ তোলা হচ্ছে যাত্রীদের পক্ষ থেকে। এখন দেখার আগামী সপ্তাহ থেকে সমস্যার সমাধান হয় কি না।