নির্বাচনী সভায় দাঁড়িয়ে পুরস্কারের 'টোপ' ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের। আর পার্থ ভৌমিকের মন্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিকমহলে। পালটা পার্থ ভৌমিক তথা তৃণমূলের সমালোচনায় সরব বিজেপি। তৃণমূল মিথ্যা কথা বলছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত।একটি সভায় পার্থ ভৌমিক বলেন, 'পঞ্চায়েতের জন্য একটা ঘোষণা আছে। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এটা আমাদের ঘোষিত নীতি, যে পঞ্চায়েত এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রসকে জেতাবে, সেই পঞ্চায়েতের আবাস যোজনার সমস্ত টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়ে দেবেন। যে পঞ্চায়েত এই নির্বাচনে তৃমূলকে লিড দেবে তাদের প্রত্যেকের আবাস যোজনার টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়ে দেবেন। তাই পঞ্চায়েতগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হোক। পৌরসভাও তাই।'
পার্থ আরও বলেন, 'আমি আমডাঙায় গিয়ে বলেছিলাম, যে অঞ্চল লিড দেবে তার প্রাইজ আছে, নির্বাচন কমিশনে নালিশ হল, আমায় জিজ্ঞাসা করলেন কী প্রাইজ দেবেন, আমি বললাম অকুণ্ঠ ভালোবাসা। ২০২১ সালের পরেও এখানে প্রাইজ হয়েছে, আমি আর কিছু বলছি না, ২০২৪-এও প্রাইজ হবে।' খুব স্বাভাবিকভাবেই পার্থ ভৌমিকের এই মন্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিকমহলে।
পার্থর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপিও। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শীলভদ্র দত্ত বলেন, 'পার্থ ভৌমিক জানেন ভোট পাবেন না। তাই লোভ দেখিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি। কারণ আবাস যোজনার টাকা কোনও পঞ্চায়েতকে আগে বা পরে দেওয়া যায় না। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা। পার্থ ভৌমিক খুব ভালোভাবে জানেন, যে জেতার কোনওরকম জায়গা নেই, তাই যতটা সম্ভব মানুষকে ভুল বুঝিয়ে করান যায়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন।' এই ধরনের বক্তব্য নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করছে বলেও দাবি করেন শীলভদ্র। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারে ভোটেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যারাকপুর কেন্দ্র। ২০১৯ সালে বিজেপির টিকিটে ব্যারাকপুরে জয়ী হন অর্জুন সিং। পরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এবার টিকিট না পাওয়ায় ফের বিজেপিতে প্রত্যাবর্তন হয়েছে অর্জুনের। ওই কেন্দ্র থেকে এবারেও বিজেপির টিকিটে অর্জুনই লড়াই করতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাস্তবেই অর্জুন ওই কেন্দ্র থেকে লড়লে, ব্যারাকপুরে হাড্ডাহাড্ডি টক্কর হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে।