ভোটের আগে ইস্তফা IPS দেবাশিস ধরের, রাজনীতিতে যাচ্ছেন?
এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
ভোটের আগে হঠাৎই পদত্যাগ আইপিএস দেবাশিস ধরের। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দেবাশিস ধর। বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ থেকেই তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। ভোটের আগে আরও এক আইপিএস-এর ইস্তফা ঘিরে খুব স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ ও প্রশাসনিকমহলে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের সময়ে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ে ওই জেলার পুলিশ সুপার পদে ছিলেন দেবাশিস ধর। বিধানসভা নির্বাচন পর্ব মিটতেই দেবাশিসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। এবার সেই আইপিএস কর্তাই দিলেন চাকরিতে ইস্তফা। জানা গিয়েছে, এই ইস্তফার আগে বাধ্যতামূলক ছুটি তথা কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে ছিলেন দেবাশিস ধর। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনও পদ বা দফতরে ছিলেন না তিনি।
একেবারে হঠাৎই ইস্তফা দিয়েছেন এই পুলিশ কর্তা। ২০১০ সালের স্টেট পুলিশ সার্ভিসের অফিসার তিনি। পরে তিনি আইপিএস হয়েছিলেন বলে জানা যায়। গত ২০২১ সালের ভোট নির্বাচন কমিশন তাঁকে কোচবিহারের আইপিএস করেছিল। কিন্তু শীতলকুচিকাণ্ডের পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। বর্তমানে অফিসার অন কম্পালসারি ওয়েটিং ছিলেন তিনি। আর এবার সেই দেবাশিস ধরই জমা দিলেন পদত্যাগপত্র। নিদের ইস্তফা পত্রে ব্যক্তিগত কারণের কথাই জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সমাজসেবা করতে চান বলেও জানিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন এই অফিসার। তবে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে যাচ্ছেন কি না সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি দেবাশিস।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে আরও এক আইপিএস অফিসার চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। তাঁকে মালদা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে প্রচারও শুরুও করে দিয়েছেন তিনি।
চাকরি ছাড়ার আগে রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদা রেঞ্জের ডিআইজির পদেও ছিলেন প্রসুন। একটা সময় মালদা ও বালুরঘাটের জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্বও প্রাক্তন এই পুলিশ অফিসার। সেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। এই বিষয়ে আগে সংবাদমাধ্যমে প্রসুন জানিয়েছিলেন, তিনি তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে কাজ করে যাবেন। যে নির্দেশ দেওয়া হবে সেটা পালন করবেন। রাজনৈতিক প্লাটফর্মে আরও বেশি করে মানুষের পাশে থাকা যাবে। সেই কারণেই চাকরি ছেড়ে আসা।