Electoral Bonds Data : কোন দলের ঝুলিতে কত টাকার বন্ড? SBI-এর তথ্য প্রকাশ কমিশনের
এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ইলেক্টোরাল বন্ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। ওই বন্ডের অনন্য ‘আলফানিউমেরিক কোড’ সহ সমস্ত তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে বলে হলফনামা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। তারপরেই আলফানিউমেরিক কোড সহ ওই বন্ডের সমস্ত তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।কী জানিয়েছে কমিশন?
বৃহস্পতিবারই, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে ওই বন্ড সংক্রান্ত সব তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। এদিনই নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার জমা দেওয়া নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সর্বশেষ বিবরণ সহ তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে।
জানানো হয়েছে, যেরকম তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেই ভিত্তিতেই যাবতীয় তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন সোশ্যাল মিডিয়া X-এ একটি পোস্টে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে SBI শনিবার, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেছে। তাদের কাছে পাওয়া সেই তথ্যই নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। যে রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছে সেইভাবেই তা তুলে দেওয়া হয়েছে।' জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশন তার ওয়েবসাইটে ব্যাঙ্ক থেকে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য সহ দুটি পিডিএফ আপলোড করা হয়েছে।
কী কী জানানো হয়েছে?
ওই তালিকায় বন্ডের ক্রয়কারীর নাম, সেটির মূল্য এবং নির্দিষ্ট নম্বর অন্তর্ভুক্ত আছে। সেই সঙ্গে কারা ওই টাকা পেয়েছে সেই প্রাপকদের তালিকাতেও বিভিন্ন দলের নাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই রাজনৈতিক দলগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংখ্যার পুরোটা তাতে উল্লেখ করা হয়নি।
শুধুমাত্র বন্ডের অর্থমূল্য এবং বন্ডের অনন্য সংখ্যার উল্লেখ করা হয়েছে। ওই বন্ড ভাঙিয়ে দলগুলি কত টাকা পেয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে। কেন রাজনৈতিক দলগুলির সম্পূর্ণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং কেওয়াইসি সম্পর্ক তথ্য জানানো হয়নি তাও জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক।
নিরাপত্তার প্রশ্ন
স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারপার্সন ডা: দিনেশ কুমার খারা হলফনামায় জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং কেওয়াইসি বিবরণ রাজনৈতিক দলগুলির জন্য প্রয়োজনীয় নয়। এর ফলে দলগুলির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
হলফনামাতে জানানো হয়েছে, 'একইভাবে, বন্ড ক্রেতাদের KYC বিশদগুলিও নিরাপত্তার কারণে জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হচ্ছে না।' প্রসঙ্গত, এই বন্ড বিক্রি বন্ধ করার সঙ্গেই তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।