আশঙ্কাই সত্যি হল। গ্রেফতার করা হল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করল ED। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় ED আধিকারিকের ১২ জনের একটি দল। জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি শেষে রাতেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে।৯ বার হাজিরা এড়ান কেজরিওয়ালউল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁর নাম জড়ানোর অভিযোগ ওঠার পর থেকে মোট ন'বার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অথচ প্রত্যেকবারই তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। শেষ পাঠানো সমন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিল্লির ED দফতরে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এবারও যথারীতি হাজিরা এড়িয়ে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
কেজরিওয়াল আদালতে আর্জি রাখেন, ED যদি নিশ্চয়তা দেয় তাঁদের করা তলবে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তাহলে তিনি হাজিরা দিতে পারেন। আসলে আম আদমি পার্টি দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে নয়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করতেই সমন পাঠাচ্ছে ED। তাঁর বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি মামলায় কোনও তথ্যপ্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কেন তলব করা হচ্ছে এ নিয়েও প্রশ্ন তোলে আপ। লোকসভা ভোটের আগে ED-র টার্গেট কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা। এমনটাই আশঙ্কা দলের।
তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, উভয়ের বক্তব্যই তাঁরা শুনেছেন। এই পর্যায়ে মামলাকারীকে কোনও সুরক্ষা দেওয়া কথা দেওয়া যাচ্ছে না। দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের রক্ষাকবচ না মেলার খবর আসার পর থেকেই তৎপর হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
গ্রেফাতর আর কারা?১২ জনের ইডি আধিকারিকের একটি দল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে পৌঁছয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এরপর ঘণ্টা তল্লাশি শেষে গ্রেফতার করা হয় কেজরিওয়ালকে।
উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় BRS নেত্রী কে কবিতাকে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার করেছে ED। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ED হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় আপের দুই প্রবীণ নেতা মণীশ সিসোদিয়া এবং দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমানে দু'জনেই তিহাড়ের জেলে বন্দি।