তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ! 'ভিডিয়ো ফেক', দাবি নরেন্দ্রনাথের
এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে টাকা বিলি করার অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিকমহলে। এই বিষয়ে একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কুলটির ডিসেরগড়ে পির বাবার একটি মাজারে গিয়েছিলেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সেখানে তিনি চাদরও চড়ান। এরপরই দেখা যায় মাজার চত্বরে থাকা দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী টাকা বিলি করছেন। আর বিধায়কের ছবি টাকা বিলানোর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তে। এই ঘটনায় বিরোধীরা অভিযোগ, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। যদিও সেই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। ওই ভিডিয়ো কার্যত ভুয়ো বলেই দাবি করেছেন তিনি।
এই বিষয়ে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বলেন, 'ওটা পুরো ফেক ছবি। ওটা বানিয়ে করেছে। আমি মাজারে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে কিছু যোগ করে করেছে।' তাহলে কারা করল এমনটা? বিধায়কের উত্তর, 'কারা করেছে বুঝতেই পারছেন, তাঁদের বলব, বিবেক জাগ্রত হোক, গরীব মানুষের পাশে থাকুন।' যদিও ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সংবাদমাধ্যমে শুনলাম নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ধর্মস্থানে গিয়ে টাকা বিলি করছেন। ভোট ঘোষণার পর যদি ধর্মস্থানে গিয়ে অর্থ বিলি করেন, তাহলে সেটা নির্বাচন কমিশনের যে গাইডলাইন আছে, সেটাকে লঙ্ঘন করছে। এই ধরনের অপরাধমূলক কমিশনের যে স্থানে তুলে ধরার, তুলে ধরব। তৃণমূল কংগ্রেসকে টাকা দিয়ে ভোট কিনতে হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'
তবে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীই প্রথম নন, এর নির্বাচনী বিধি অভিযোগ উঠেছে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধেও। কিছুদিন আগে আমডাঙার একটি সভায় গিয়ে তিনি বলেছিলেন যে অঞ্চল লিড দেবে তাদের জন্য প্রাইজ আছে। সেই নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ হয়। পরে এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'যে অঞ্চল লিড দেবে তাদের জন্য প্রাইজ আছে বলেছিলাম, নির্বাচন কমিশনে নালিশ হল। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন কী প্রাইজ দেব, বললাম অকুণ্ঠ ভালোবাসা।'
প্রসঙ্গত, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই গরমাগরম বক্তব্য রাখছেন নেতারা। ভোটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপও করছেন তাঁরা। কখনও কখনও নেতাদের সেই সমস্ত বক্তব্য বা কাজকর্মই জন্ম দিচ্ছে বিতর্কের।