ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। আবগারি দুর্নীতি মামলায় রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এরপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। কবে? আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ককে।এর আগে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন আটবারই! শেষ যে সমনটি পাঠানো হয়েছে, তাতে বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। হাজিরা না দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। আবেদন করেন, ‘ইডি নিশ্চয়তা দিক যে, তাদের তলবে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না'। আজ, বৃহস্পতিবারই মামলাটির শুনানি হয় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশকুমার কাইথ এবং বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘আমরা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তবে আমরা এই পর্যায়ে মামলাকারীকে কোনও সুরক্ষা দেওয়ার কথা দিচ্ছি না'। এরপরই তৎপরতা বাড়ে ইডি।এদিকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় বিআরএস নেতা কে কবিতাকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। এক হ্যান্ডেলে পোস্ট দিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনি লিখেছেন, 'এর আগে বেআইনি অর্ডিন্যান্স জারি প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ভোটের মুখে যদি মুখ্য়মন্ত্রী ও প্রথমসারির বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার করা হয়, তাহলে কীভাবে আমরা ভারতে অবাধ নির্বাচনের আশা করব'?প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়াল মোদীর কাছে আত্মসমপর্ণ করেনি। তাই ইডির মাধ্যমে বারবার তাঁকে হেনস্থা করতে করতে নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধিমতী, সে এটা বুঝে আগেভাগেই নরেন্দ্র মোদীর কাছে আত্মসমর্পণ করে রাজ্যভবনে গল্প করেছেন। ইন্ডিয়া জোট থেকে দিদির পলায়নের সবথেকে বড় কারণ ইডির ভয়।'