জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অযোধ্যায় রামলালার মূর্তির যে রূপ সেই রূপের রাম লালার মূর্তির দেখা মিলল আসানসোলে। তাও আবার জীবন্ত মূর্তি। দুই শিল্পী এই রামলালার মূর্তি রূপটি সাজিয়ে তুলেছেন এক বালকের মাধ্যমে। অযোধ্যায় যে রাম লালার মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তাক লাগানো কাজটি করেছেন মেকআপ আর্টিস্ট আশিষ কুণ্ডু ও রুবি কুণ্ডু।মেক-আপ স্টুডিয়ো চালাচ্ছেন আশিস ও রিয়া কুণ্ডু। আসানসোলের লালগঞ্জের বাসিন্দা দম্পতি রুবি ও আশিস। আসানসোলের মহিশিলার বাসিন্দা নয় বছরের শিশু আবির দে-কে এই দম্পতি নিপুন দক্ষতায় অবিকল অযোধ্যার রামলালার রূপ দেন।
মাসখানেকের প্রস্তুতিতে অবশেষে লক্ষ্যপূরণ। রুবি ও আশিস জানালেন, এটাই তাঁদের এতদিনের সেরা কাজ। অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করার পর এমন বাস্তবায়ন তৃপ্তি দিচ্ছে। কাজ কতটা ভালো হল তা তো দেখে বলবেন সাধারণ মানুষ।ছোট শিশু গায়ে রাখতে পারে সেরকম হালকা অলংকার তৈরি করা হয়েছে ফোম দিয়ে।অলঙ্কার-সহ নানা সাজসজ্জা হাতে তৈরি বলেই জানিয়েছেন রুবি। সে জানাল, 'ভালোই লাগছে।' আশীষ কুন্ডু বলেন তিনি মনে প্রাণে রামভক্ত তাই ওই শিশুকে রামলালার রূপে সাজিয়ে তুলতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য বলে মনে করছেন। রাম লালা সেজে খুব খুশি আবির।প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় রাম লালার মূর্তি। স্বয়ং প্রধাণমন্ত্রী অযোধ্যার রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মাথায় হিরের মুকুট, কপালে টিকা, গলায় হার, কানপাশায় সুসজ্জিত হয়ে, ফুলের মালায় ঢেকে প্রথমবারের মতো দেশবাসীর সামনে হাজির হন রামলালা। কালো রঙের পাথরে তৈরি হয়েছে এই রামলালার মূর্তি। একে কষ্টি পাথরও বলা হয়ে থাকে। সেই কারণেই এই মূর্তির রঙ কালো। এই পাথরের অনেক গুণ, এমনকী অনেকক্ষেত্রেই এই পাথর বাকি অন্য পাথরের থেকে অনেক আলাদা। স্থাপত্যবিদদের মতে, গত ৩০০ বছরে উত্তর ভারতে এমন আর কোনও মন্দির নির্মাণ হয়নি। জানা যায় যে মন্দিরের বয়স হাজার বছর পার করার পরেও সূর্যের তাপ,বাতাস এবং জল এর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না কারণ মন্দিরের নিচে গ্রানাইটের একটি স্তর রয়েছে,যা আর্দ্রতা শোষণ প্রতিরোধ করে।