এবার কঙ্কালীতলায় ১ টাকায় ভরপেট খাবার! সতীপীঠে অভিনব উদ্যোগ
২৪ ঘন্টা | ২২ মার্চ ২০২৪
প্রসেনজিৎ মালাকার: ১ টাকায় দুপুরের ভরপেট আহার। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। এবার সাধু, সন্ত, ভবঘুরে, দুঃস্থ মানুষজনদের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন মিলবে ভরপুর দুপুরের খাবার। সাত দিনের খাবারের তালিকা থাকবে আলাদা আলাদা। ভাত, ডাল, সবজি, চাটনি থাকবেই সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিমও রুটিন করেই। অভিনব উদ্যোগে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত।
বীরভূমের ৫১ সতীপিঠের অন্যতম কঙ্কালীতলা। আর মন্দির সংলগ্ন জায়গায় টিনের সেড তৈরি করে মনোরম এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাঞ্চিদেশ মন্দির কমিটিও সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে। বৃহস্পতিবার, কঙ্কালীতলা মন্দিরের সেবাইত, সাধুসন্ত, কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন হওয়া মাত্রই এলাকার পাঁচ শতাধিক অসহায় মানুষ আনন্দ উচ্ছ্বাসের সঙ্গেই দুপুরের আহার করেন।কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন ওরফে মামন বলেন, 'কঙ্কালীতলা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সাধু, সন্ত, ভবঘুরে, দুঃস্থ মানুষজন রয়েছেন। পথচারী ক্ষুধার্ত মানুষের কথা চিন্তা করেই এবার থেকে ১ টাকায় মিলবে দুপুরের খাবার। অনাহারী মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতেই এগিয়ে এসেছেন এলাকার মানুষজনও।' আর এক টাকায় এত খাবার পেয়ে খুশি হতদরিদ্র মানুষ জনেরাও। মানবিক দৃষ্টান্তমূলক কাজকে প্রশংসনীয় দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও দূর দূরান্তের পর্যটকেরা।সাধু-সন্তদের একাংশের দাবি, 'দূরদূরান্তে সাধু সন্তরা এখানে এসে উপস্থিত হন। অনেক সময় তারা পেটপুরে না খেয়েই থেকে যেতে হতো এতদিন। মাত্র ১ টাকায় মিলছে স্বাস্থ্য সম্মত, পরিচ্ছন্ন খাবার। যার ফলে উপকৃত হবেন সাধু সন্তরা ছাড়াও গরিব সাধারণ মানুষ৷' এক কথায় কঙ্কালীতলা মন্দির চত্বরে টাকার অভাবে আর কাউকে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে না। ক্ষুধার্ত ভবঘুর শংকরী দাসী ও শ্যামল রুইদাসদের দাবি, 'ক্ষুধার্ত মানুষের কষ্টের যেমন মুক্তি মিলবে, পাশাপাশি পুষ্টিজনিত রোগ থেকে মুক্তি মিলবে দরিদ্র মানুষদের।' তবে পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, মানবিক কাজটি পরিচালনা করতে কোনওরকম সরকারি অনুদান নেওয়া হবে না। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন সাধারণ মানুষই।