• ‘এটা রিয়েলিটি শো না’, ভোট প্রচারে রচনাকে আক্রমণ লকেটের
    ২৪ ঘন্টা | ২২ মার্চ ২০২৪
  • বিধান সরকার: ‘ও তো পাঁচ বছরে সাংসদ হিসেবে সাংসদ কিছুই করেননি এখন ভোটের সময় প্রচারে দেখা যাচ্ছে। বলাগড় ভাঙনেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি’, নিজের প্রচারে এসে লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্বন্ধে এমনই অভিযোগ করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।তার উত্তরে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা রিয়েলিটি শো না’।

    ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য দরকার ভাঙন রোধ করতে। সেটা কেন্দ্র সরকার করেনি। টাকা দেয়নি। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গত পাঁচ বছরে দেখা যায়নি। এখন ভোটের প্রচারে দেখা যাচ্ছে’, বলেন তৃনমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় তার জবাবে বলেন, ‘উনি একদমই নতুন আছেন, কিছু জানেন না। যা শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাই বলছেন। গঙ্গা ভাঙন নিয়ে টাকা কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল সেই টাকা খরচা করেনি। কেন করতে পারেনি। কেন্দ্র তো সরাসরি খরচা করতে পারে না। সেই টাকাগুলো কোথায় গেল? তারপর তো কাজের কথা’।তিনি আরও বলেন, ‘আমি ১৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার কাজ করেছি। আমি তো আমার হিসেব দিয়েছি’। শেষ ১৩ বছরে কী কাজ করেছেন তার হিসাব নিয়ে আসুন। তার হিসাবটা দিন শেষ ১৩ বছরে যখন তৃণমূলের সাংসদ ছিল কী কাজ করেছেন। আমি তো আমার হিসাব দিয়েছি যখনই চেয়েছে। এবার আমি হিসাব চাইছি’।লকেট চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘যে টাকা পাঠানো হয় সেটা আমি সংসদেও বলেছি। উনি এগুলো জানেন না। যে যে দুর্নীতি করেছে সেটা জানতে হবে। রাজনীতিতে আমি লাফিয়ে লাফিয়ে চলে এলাম কী হয়েছে সেটা তো পড়তে হবে স্টাডি করতে হবে। কেন নেতারা জেলে রয়েছে সেটা আগে রিসার্চ করা দরকার, কথা বলা দরকার। এসব তৃনমূল প্রার্থী জানবে কী করে’।তিনি আরও বলেন, ‘সকাল বেলা হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে রাজনীতিতে চলে এলাম কী করে জানবে জানতে জানতে তো ভোটই চলে যাবে। উনি তো কোনও দিন তৃণমূলটা করেননি। উনি জানবেন কি করে। উনি আমার থেকে পাঁচ বছরের হিসাব চেয়েছেন আমি দিয়ে দিয়েছি। এবার উনি তেরো বছরের হিসাব দিন’।বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘উনি বুঝতে পারবেন যে জায়গাটা কতটা শক্ত। এটা কোনও রিয়ালিটি শো না। এখানে মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে হয়। মানুষের সঙ্গে সংস্পর্শে থাকতে হয়। এটা টিভি ক্যামেরা সামনে কিছু বলা নয়। যা কিছু বলব ভেবে বলতে হয়’।তার অভিনয় জগতের সতীর্থকে কি এই বিষয়ে পরামর্শ দেবেন? এই প্রশ্নে লকেট বলেন, ‘সেটা ভোটের পরে’। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)