• Arvind Kejriwal : কেজরিওয়ালকে 'ষড়যন্ত্রকারী' বলে উল্লেখ ইডির! কী কারণে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী?
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
  • লোকসভা ভোটের মুখে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে ED। এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে ১২ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট টিম তল্লাশি চালাতে শুরু করে। দু'ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। তারপর রাতেই তাঁকে পাকড়াও করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। দিল্লি হাইকোর্টে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ করে দিতেই ED এই বড় পদক্ষেপ নিল। কিন্তু, ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে আপ সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে?

    কোন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার তলব করা হয় কেজরিওয়ালকে?২০২১-২২ সালে দিল্লি সরকারের আনা আবগারি নীতি নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। যদিও বিতর্কের মুখে দিল্লির আপ সরকার সেই নীতি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ED-র দাবি, রাজধানীতে সুরাবিক্রির নীতি এমন ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল, যাতে বাছাই করা কিছু সংস্থা এবং ব্যবসায়ী লাভবান হন। এ ব্যাপারে দক্ষিণ ভারতের বিশেষ একটি লবিও প্রভাব খাটিয়েছিল বলে অভিযোগ। AAP-এর তহবিলে ১০০ কোটি টাকা জমা পড়েছে বলেও দাবি করা হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির পক্ষ থেকে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজিরওয়ালকে 'ষড়যন্ত্রকারী' হিসেবেও উল্লেখ করে ED। এই মর্মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ন'বার ডেকে পাঠালেও কেজিরওয়াল হাজিরা দেননি।

    কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সাক্ষীদের কী বয়ান?ED-র দাবি, সাক্ষীদের বয়ানে বারবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম উঠে এসেছে। অভিযুক্তরাও তাঁর নাম নিয়েছেন। চার্জশিট এবং রিম্যান্ড নোটেও সে কথা উল্লেখ করেছে ED। তদন্তকারীদের আরও দাবি, কেজিরওয়ালের বাসভবনে নিয়মিত যেতেন এই দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বিজয় নায়ার। আবগারি নীতি নিয়ে কেজরিওয়ালের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় তাঁর। এই বিজয় নায়ারই ইন্দোস্পিরিট সংস্থার মালিক সমীর মহেন্দ্রুর সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আলাপ করিয়ে দেন। ভিডিয়ো কলে সমীর মহেন্দ্রু এবং কেজরিওয়ালের একাধিকবার কথা হয়। এ ছাড়াও রাঘব মাগুন্টা নামে একজনের নামও উঠে এসেছে এই মামলায়। তিনিও কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন। তদন্তকারীদের তিনি জানান, তাঁর বাবা YSRC দলের সাংসদ। আবগারি নীতি নিয়ে তিনিও কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    মাত্র কয়েকমাস আগে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে ED। যদিও গ্রেফতারির কয়েক মুহূর্ত পূর্বে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হলেন।
  • Link to this news (এই সময়)