Gaza Israel War : গাজ়ার হাসপাতালে রোগীদের উপর ‘রিভেঞ্জ’ ইজ়রায়েলের
এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
এই সময়: গাজ়ায় পুরো একটা জেনারেশন ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে, এমন কথাই শোনা গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর অধিকর্তা তেদ্রস আধানম ঘেব্রেইয়েসুসের মুখে। গাজ়ায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার ছুঁতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছে গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক। খোঁজ নেই হাজার আটেক মানুষের। প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ আহত, কিন্তু তাঁদের যথাযথ চিকিৎসা চালানোর উপায়টুকুও নেই! আর সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে গাজ়ার আল-শিফা হাসপাতালের অবস্থা।গাজ়ার মিডিয়া অফিসসূত্রে খবর, ওই হাসপাতালে রোগীদের ওষুধ, অক্সিজেন, খাবার-দাবার বন্ধ করে দিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা, যার জেরে একদিনে মারা গিয়েছে ১৩ জন রোগী। এঁদের মধ্যে চার জন ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ইজ়রায়েলি সেনা হাসপাতালের ইলেকট্রিসিটি সংযোগ কেটে দেওয়ার পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই রোগীরা। সূত্রের খবর, ডাক্তার, নার্সদের আটকে রেখেছে ইজ়রায়েলি ফোর্স, যাতে তাঁরা রোগীদের চিকিৎসা করতে না পারেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের পোশাক কেড়ে নেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা চাইলেও পেশেন্টের রুমে ঢুকে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা না করেন।
গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘অসুস্থ, আহত মানুষ এবং মেডিক্যাল টিমের উপর যে অন্যায়, অকথ্য অত্যাচার চলছে আমেরিকা প্রশাসন, আন্তর্জাতিক কমিউনিটি এবং ইজ়রায়েলি প্রশাসন এর জন্য দায়ী।’
এদিকে, হু-এর অধিকর্তার দাবি, গাজ়ায় অনুদান পৌঁছনোর সুযোগ না বাড়ালে সেখানের মানুষগুলোকে বাঁচানো যাবে না। ইতিমধ্যেই গাজ়ায় বহু শিশু অপুষ্টিতে মারা গিয়েছে। ইজ়রায়েলি ফোর্সের হানাদারি এড়িয়ে গাজ়ায় ত্রাণ পৌঁছনো একটা বড়সড় চ্যালেঞ্জ। ঘেব্রেইয়েসুসের কথায়, ‘আকাশ এবং সমুদ্রপথে ত্রাণ সরবরাহের চেষ্টা চলছে, কিন্তু ল্যান্ড ক্রসিং খোলা না হলে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। বাচ্চারা রোগে, অপুষ্টিতে ভুগে মরছে।
খাবার তো দূরস্থান, পর্যাপ্ত খাওয়ার জল সেখানে নেই। একটা পুরো প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে। ইজ়রায়েলের কাছে আরও একবার অনুরোধ করব সীমান্ত খুলে খাবার, মেডিক্যাল সামগ্রী, জল এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী গাজ়ায় পৌঁছে দেওয়ার পথ করে দিন, না হলে মানুষগুলো বাঁচবে না।’