• Sitamari Sita Mandir : রাম মন্দিরের পর এবার সীতা মন্দির, কবে-কোথায় গড়ে উঠবে গ্র্যান্ড পুণ্যস্থান?
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
  • অযোধ্যার রাম মন্দিরের পর এবার তৈরি হতে চলেছে সীতা মন্দির। গ্র্যান্ড এই মন্দিরটি তৈরি করা হবে উত্তর বিহারের সীতামারিতে। এই স্থানটিকেই সীতার জন্মস্থান হিসেবে বিশ্বাস করেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। বিহার সরকারের সিদ্ধান্ত, এই এলাকাতেই ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে সীতা মন্দির তৈরি করা হবে।সীতার জন্মস্থানে সীতা মন্দিরউত্তর বিহারের এই সীতামারিতে বর্তমানে একটি সীতার মন্দির রয়েছে। সেখানেই নতুন করে সুবিশাল মন্দির তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিহার সরকার। ইতিমধ্যেই বিহার ক্যাবিনেটে এই প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে।

    বিহারের বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য কামেশ্বর চৌপল বলেন, 'রামের জন্য অযোধ্যা যা, সীতার জন্য সীতামারিও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দুদের কাছে এটি একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান। দেশ-বিদেশ থেকে অগণিত ভক্ত অযোধ্যায় রাম মন্দির দর্শন করতে আসেন। তাঁরা সীতার জন্মস্থান দেখতেও আগ্রহী। তাই আমরা চাই সীতার জন্মস্থানে অযোধ্যার মতোই একটি গ্র্যান্ড মন্দির তৈরি করা হোক।' BJP-র এই নেতাই সীতা মন্দির তৈরির অন্যতম মূল উদ্যোক্তা।

    কামেশ্বর চৌপল আরও বলেন, '১০০ বছর আগে সীতামারিতে একটু মন্দির তৈরি হয়েছিল। তবে সেটি আর আগের মতো অবস্থায় নেই। তাই আমাদের প্রস্তাব অযোধ্যার রাম মন্দিরের মতোই গ্র্যান্ড সীতা মন্দির তৈরি হোক সীতামারিতে।' উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে যখন অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের শিলান্যাসের জন্য ইট গাঁথা হয়েছিল তখন এই কামেশ্বর চৌপলই প্রথম ইটটি গাঁথেন। তিনি অযোধ্যা রাম মন্দিরের একজন উল্লেখযোগ্য ট্রাস্টিও বটে।

    নীতীশ সরকারের উদ্যোগবর্তমানে মন্দিরের সংস্কারের জন্য এর আগেই বিহার সরকার সীতামারির ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলে ১৬.৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। নয়া মন্দিরের জন্য আরও ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। পাবলিক ট্রাস্টের মাধ্যমেই নির্মাণ কাজ হবে সীতা মন্দিরের। ঠিক যেমনভাবে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে, এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই করা হবে বলে খবর।

    বিহারের মুখ্যসচিব ড. এস সিদ্ধার্থ বলেন, 'সরকার কখনও মন্দির নির্মাণ করতে পারে না। তবে একাধিক অংশ থেকে দাবি উঠেছে ওই এলাকায় একটি মন্দির গড়ে তোলা হোক। ফলে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে তা বাস্তবায়িত করার প্রচেষ্টা নিয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'মন্দির নির্মিত হলে এলাকায় প্রচুর সংখ্যক ভক্তের আনাগোনা বাড়বে। ফলে হোটেল তৈরির প্রয়োজন পড়বে। ভবিষ্যতের এই প্রয়োজনের কথাগুলি ভেবেই সরকার জমি অধিগ্রহণ করবে বলে স্থির করেছে। আমাদের ধারণা সেখানে মন্দির তৈরি হলে তিরুপতির ন্যায় পুণ্যস্থানে পরিণত হবে। তেমন উন্নয়নের জন্য সঠিক পরিমাণ জায়গা প্রস্তুত রাখার জন্যই সরকারের এই সিদ্ধান্ত।'

    প্রসঙ্গত, রামায়নে যে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে সীতামারি একটি। অযোধ্যা রাম মন্দির নির্মাণের পর থেকে এই এলাকায় সীতা মন্দির তৈরির দাবি আরও জোরাল হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেই এলাকায় পর্যটনের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে নীতীশ কুমার সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা সীতা মন্দির নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা অমরেন্দ্র সিং বলেন, 'বিহারের নীতীশ কুমার সরকার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয়দের আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে মিল রেখে এখানে এবার সীতা মন্দির গড়ে তোলা হবে।'
  • Link to this news (এই সময়)