রাজ্যের এক মন্ত্রীর বাড়িতে ED তল্লাশি। রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের বাড়িতে শুক্রবার তল্লাশি চালায় ED। এদিন সাত সকালে ED আধিকারিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে যায়। তবে তিনি সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না বলেই প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই তাঁর বাড়িতে গিয়েছে ED। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের মুখে এই তল্লাশি ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন।এদিন তাঁর বোলপুরের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকতে দেখা যায়। সকালে মন্ত্রীর বাড়িতে মোতায়েন থাকা পুলিশকর্মীদের তল্লাশির জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখান ED আধিকারিকরা। এরপর তাঁরা তল্লাশি চালানোর জন্য ভেতরে প্রবেশ করেন। বাইরেই রাখা হয় পুলিশ কর্মীদের। ED-র টিমে ছিলেন মহিলা আধিকারিকরাও। বর্তমানে ভেতরে চলছে তল্লাশি।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে নিচুপট্টির ওই বাড়িতে নেই মন্ত্রী। তিনি মুরারইয়ে রয়েছেন নিজের গ্রামের বাড়িতে। ওই বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে। এদিকে লোকসভা ভোটের মুখে ED-র এই সক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন। তিনি বলেন, 'নির্বাচন আসতেই নিয়ম করে রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতে ED পাঠানো হচ্ছে। এখানেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়।'
অর্থাৎ এজেন্সি রাজনীতির দিকে ফের একবার আঙুল তুলেছেন তিনি। এর আগে একাধিকবার বিভিন্ন সময় তৃণমূল নেতারা অভিযোগ তুলেছিলেন, ED-CBI-কে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও সেই যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয় BJP-র পক্ষ থেকে। তাঁদের কথায়, 'এজেন্সি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে আইন মেনে কাজ করছে।'
শুক্রবার সকাল থেকেই শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় ED। কলকাতাতেও একাধিক জায়গায় চলছে তল্লাশি। চেতলা, লেকটাউনে চলছে তল্লাশি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অতীতেও একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। শুক্রবার চেতলার পিয়ারী মোহন রায় রোডের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাড়িটি ব্যবসায়ী বিশ্বরূপ বসুর বলে জানা গিয়েছে। তিনি পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ED। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, মডেল তথা অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছিল তদন্তকারীদের। উদ্ধার হয়েছিল থোক থোক টাকা। অঙ্কটা প্রায় ৫০ কোটির বেশি। ছিল গয়নাও। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আপাতত রয়েছেন সংশোধনাগারে। তাঁর আইনজীবী দাবি করেছেন, এই টাকার সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই সম্পর্কযুক্ত নন।