বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্সার ইউনিটে পুজোর আগেই ইন্ডোর পরিষেবা
এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৪
ক্যান্সার চিকিৎসায় একের পর এক পদক্ষেপ রাজ্যের। কয়েকদিন আগেই রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টার উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্সার ইউনিটের ইন্ডোর পরিষেবা চালুর জন্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা অনুমোদন স্বাস্থ্য দফতরের। কয়েকদিনের মধ্যেই এসে যাবে সেই টাকা। আর পুজোর আগেই তা চালু হয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, টাকা আসার তিন মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেইমতো সমস্ত প্রস্তুতিও সেরে রাখছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।গত বছর সূচনাপ্রসঙ্গত, গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পথ চলা শুরু হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্সার ইউনিটের, নাম টার্সিয়ারি ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার। হাসপাতালের মধ্যেই চালান হত ওই বিভাগ। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন পুরনো এবং ২০ থেকে ২৫ জন নতুন রোগী আসতেন। তবে জায়গায় অভাবে বহির্বিভাগ চলত সপ্তাহে মাত্র চারদিন। সেই জন্যই হাসপাতালের বাইরে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসের ঠিক উল্টোদিকে নতুন ভবনে ক্যান্সার বহির্বিভাগ শুরু হয়। নতুন ভবনে সেন্টারটি চালু হওয়ার পর সপ্তাহে পাঁচদিন বহির্বিভাগের পরিষেবা চালু হয়। সোম থেকে বৃহস্পতি এবং শনিবার মেলে পরিষেবা।
ওই সেন্টারটি চালু হওয়ার সময় ঘোষণা করা হয়েছিল যে, কয়েক মাসের মধ্যেই ইন্ডোর পরিষেবাও চালু করা হবে। কিন্তু তারপর বছর ঘুরে গেলেও তা চালু করা যায়নি। এদিকে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের ইনডোর চিকিৎসার দাবিও বাড়ছিল। এবার তাঁদের এতদিনের দাবি মিটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, এতদিন বিভিন্ন সমস্যার কারণে ইন্ডোর বিভাগ খোলা যায়নি। তবে এবার টাকা এসে গিয়েছে। এই বিভাগের জন্য মোট ১৪.৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেই টাকাও এসে যাওয়ার কথা। টাকা এলেই সেই কাজও শুরু হয়ে যাবে।
কী কী থাকছে?বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মহিলাদের জন্য ২৫টি এবং পুরুষদের জন্য ২৫টি, সবমিলিয়ে ৫০ শয্যার ইন্ডোর পরিষেবা মিলবে বর্ধমান মেডিক্যালের ক্যান্সার ইউনিটে। এছাড়াও থাকবে সেমিনার হল, টিউমার বোর্ড রুমের ব্যবস্থাও। কর্কট রোগ পরীক্ষার জন্য সমস্ত যন্ত্রপাতিও ওই ভনেই বসবে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে, বর্ধমান মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ডাঃ কৌস্তভ নায়েক সংবাদমাধ্যমে জানান, ক্যান্সারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অনেকেই এই রোগের কারণে আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যান। সেক্ষেত্রে এই ক্যান্সার ইউনিট পুরোদমে চালু হলে গোটা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ উপকৃত হবে।