লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এই ঘটনা ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউ দিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসে জিআরপি আধিকারিকরা তল্লাশি চালায়। সেই সময় ছয় জনকে দেখে সন্দেহ হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার হয়।এত টাকা নিয়ে তাঁরা কোথা থেকে আসছিলেন, কোথায় বা যাচ্ছিলেন? তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় দুই জন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা এবং চার জন লখনউয়ের বাসিন্দা গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁরা রাজধানী এক্সপ্রেসে করে কলকাতায় আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া স্টেশনে তাঁরা পৌঁছলে জিআরপি আধিকারিকরা তল্লাশি চালায় এবং সেই সময় এই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হয় তাঁদের থেকে।
কোথা থেকে উদ্ধার হল এত টাকা? কাগজপত্র দেখাতে বললেও পারেননি তাঁরা। ওই ব্যক্তিদের দাবি, ব্যবসার কারণে কেনাকাটা করার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন তাঁরা। এদিকে কাগজপত্র না থাকায় এই ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। উদ্ধার হওয়া ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করে আইনি পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে।
টাকা কারা পাঠাচ্ছেন ও কার কাছে পাঠানো হচ্ছে তা অস্পষ্ট জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে এই টাকাগুলো চোরাই পথে নিয়ে আসা হচ্ছিল। নির্বাচনের আগে এত বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে হাওড়া স্টেশনে কেন এসেছিলেন তাঁরা? কার কাছে সেই টাকা পাঠানো হচ্ছিল? তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তিদের নাম বিশ্বনাথ জানা (৩৮), সৌমেন জানা (২৯), সৈয়দ আসিফ (৫৩), জিসান খান মিরাজ (৩৪), মুদিত রাষ্ট্রগী (৪২), মহম্মদ দানের (২৯)। তাঁদের মধ্যে বিশ্বনাথ জানা ও সৌমেন জানা পাঁশকুড়ার বাসিন্দা।
উল্লেখযোগ্যভাবে, লোকসভা নির্বাচনের আগে গোটা রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তা। জায়গায় জায়গায় নাকাচেকিং করা হচ্ছে। চলছে কড়া নজরদারিও। এরই মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কোথা থেকে এল এই বিপুল পরিমাণ টাকা? কোথায় বা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব খুঁজতে শুরু হয়েছে তদন্ত। উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED তল্লাশিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। অঙ্কটা ৫০ কোটি টাকার বেশি।